গ্যাস সংকট মোকাবেলায় এলএনজি টার্মিনাল
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৪:২৬:১৬ বিকাল
দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের অন্যতম বিকল্প হিসেবে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ব্যবহার বাড়াতে সরকার অগ্রনী ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে স্থলভাগে চারটি এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল স্থাপনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। ভবিষ্যতে বিদ্যুত ও শিল্প উৎপাদনসহ উৎপাদনশীল খাতে এ ব্যয়বহুল জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে। আগে স্থলভিত্তিক দুইটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও এখন তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এরই অংশ হিসেবে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালগুলো নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।এগুলো নির্মাণে ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার পৃথক চারটি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। একইসঙ্গে মহেশখালীতে আরেকটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে পেট্রোবাংলাকে অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। এ টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সরকার এলএনজি আমদানিতে জোর দিয়েছে। টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি এলএনজির আমদানি মূল্য নির্ধারণের নীতি নির্ধারণেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গ্যাস সংকট মোকাবেলায় সরকারের এ পদক্ষেপ সফল হোক এ প্রত্যাশা সবার। আগামী ২০১৮ সাল থেকে আমদানিকৃত এলএনজি জ্বালানীর ব্যবহার শুরু করা হবে। গ্যাস সংকট মোকাবেলায় সরকার এই সিন্ধান্ত সত্যই প্রশংসিত। অপর দিকে গ্যাস সংকট বড় আকারে যাতে দেখা না যায় এ অবস্থায় গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে সরকার এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পেট্রোবাংলা এজন্য মহেশখালিতে ভাষমান একটি টার্মিনাল নির্মাণ করছে। এজন্য চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে অনুসাক্ষর করেছে তারা যা এরই মধ্যে চুড়ান্ত ভাবে স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগের তরফ থেকে পাওয়ার সেল স্থলভাগে একটি আলাদা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৫১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন