উজ্জল সম্ভাবনা গবাদিপশু পাখির বর্জ্যে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ০৩:৫৪:১০ দুপুর
বিদ্যুতের সংকট মেটাতে গবাদিপশু পাখির বর্জ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ টন গবাদিপশু পাখির বর্জ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব এবং তা থেকে বছরে ৬২০ গিগা ওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চলছে। পাইলট প্রজেক্টের বদলে বাণিজ্যিকভাবে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে। সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ করেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যয় কমাতে গবেষণা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস হতে উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের জন্য সরকার কাজ করছে। পাইলট প্রকল্পের বদলে বাণিজ্যিকভাবে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। তৃণমূল পর্যায় থেকে বিকল্প জ্বালানি জনপ্রিয়তার কারনে বায়োগ্যাসের ক্ষেত্রে দেশে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হচ্ছে। দেশে এখন ৯১ হাজারের মতো বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে। চীনে প্রায় ৪ কোটি বায়োগ্যাস প্লান্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা বিপুল পরিমাণ গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ভারতেও এ সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর নেপালে রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার। জার্মানীতে ৫০ হাজার কিউবিক মিটার বায়োগ্যাস উৎপাদন হয় এমন প্লান্টের সংখ্যায় রয়েছে ৫ হাজার। যেখান থেকে হাজার হাজার বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। সারাবিশ্বেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সেখানে বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে না। উন্নত বিশ্ব নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দিলেও আমাদের এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার তেমনভাবে শুরু হয়নি। জার্মানী তাদের বায়োগ্যাস দিয়ে তিন শতাধিক সিএনজি স্টেশন পরিচালনা করছে। তাদের বায়োগ্যাসের প্রধান কাঁচামাল আসছে ভুট্টার গাছ থেকে। ভুট্টা তুলে নেয়ার পরই কেবল তারা গাছের আবর্জনা দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদনে কাজে লাগাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশেও প্রতিবছর ৩ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হচ্ছে। কিন্তু ভুট্টা তুলে সংগ্রহের পর গাছগুলো আর অন্য কোন কাজে ব্যবহার হয় না। জার্মানীতে উৎপাদিত বায়োগ্যাসের ৩৩ ভাগ আসে ভুট্টার গাছ থেকে। ১১ ভাগ আসে শহরের আবর্জনা, পাঁচ ভাগ আসে আবাসিক এলাকার আবর্জনা থেকে। আর ৫১ ভাগ আসে প্রাকৃতিকভাবে সংগ্রহ করা আবর্জনা থেকে। অথচ বাংলাদেশের বিশেষ করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে আবর্জনার কারণে ইতোমধ্যে শহরটি দূষিত নগরী হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে। গবাদিপশুর খামারে বায়োগ্যাস উৎপাদনের প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৬০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
Islamic Movement of Bangladesh.
Blogs are public place, Everybody has free speech, you are not
moderator.
মন্তব্য করতে লগইন করুন