আর থাকছে না সড়কপথের ঝক্কি-ঝামেলা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:৫৯:১৭ বিকাল
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারের সাথে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ সারা দেশের যোগাযোগ সহজতর হচ্ছে খুব শিঘ্রই।এই লক্ষ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এডিবি’র আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। ভবিষ্যতে মিয়ানমার হয়ে চীনের কুনমিন পর্যন্ত চলে যেতে পারে এই রেলওয়ে সংযোগ।এই রেলপথ বাংলাদেশের ‘পূর্ব মুখী’ (লুকইস্ট) কূটনীতিকে সফল করবে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে প্রস্তাবিত ১৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক থার্মাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পকে ঘিরে এই রেলপথের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। তাছাড়া সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার, বান্দরবান অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ও কর্মসংস্থানের বিরাট সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে। সড়কপথের ঝক্কি-ঝামেলা এড়িয়ে আরামদায়ক রেলে পর্যটন শহর কক্সবাজারে পৌঁছতে পারবে দেশি-বিদেশি পর্যকটেরা। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে খুব শিগগির ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন জেলার জেলা প্রশাসকদের আগে বলা হয়েছে। এই লক্ষ্যে অর্থ সরবরাহও দেয়া হয়েছে। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় এই অঞ্চলের উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ। ওই অঙ্গীকারের অংশ হিসাবে চার বছর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই বছর আগেই কাজটি শেষ হওযার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় প্রকল্পটির নকশায় বড় ধরনের পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেয়া প্রতিশ্রুতির পরিসমাপ্তি করতে যাচ্ছেন।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন