ব্লু-ইকোনমি ও সমুদ্রসীমা রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৯ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:০২:১৮ বিকাল
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং বিপুল সমুদ্রসম্পদ আহরণে শক্তিশালী, আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য নৌবাহিনী প্রয়োজন। মৎস্যসম্পদে পরিপূর্ণ, গ্যাস এবং অন্যান্য অনাবিষ্কৃত মূল্যবান খনিজসম্পদে ভরপুর বিশাল সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এবং এই বিশাল সমুদ্র এলাকা
থেকে সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও সুরক্ষায় শক্তিশালী, আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য নৌবাহিনী গঠনের কোনো বিকল্প নেই। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্র এলাকায় নিজস্ব কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। বিপুল সমুদ্রসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ায় এই সমুদ্রসীমা বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য এই ব্লু-ইকোনমি ব্যাপক অবদান রাখতে পারে। সমুদ্রসম্পদ আহরণ এবং দেশের উন্নয়নে এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশের ৭১০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকা রয়েছে এবং এ এলাকার প্রায় তিন কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের জীবন জীবিকার জন্য সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ পরিচালিত হয় এই সমুদ্র পথে। সে কারণেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সমুদ্র এলাকার উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধ জাহাজ, মেরিটাইম হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট সংযুক্ত করায় নৌবাহিনী দ্বিমুখী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আরও আনন্দের বিষয় যে, দু’টি সাবমেরিন নৌবহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে যা এই বাহিনীকে ত্রিমুখী বাহিনীতে পরিণত করবে এবং নৌবাহিনী দেশের সার্বিক প্রতিরক্ষা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। নৌবাহিনী তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখা এবং দেশের স্বার্থে ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ নৌবাহিনী সব সময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখবে এবং দেশের প্রয়োজনে যে ত্যাগ স্বীকার করে আসছে তা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন