দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ ২০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে সাঁথিয়ার শুঁটকি
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৮ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:৪১:৫৬ বিকাল
পাবনার সাঁথিয়ার শুঁটকি মাছ যাচ্ছে ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ২০টি দেশে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। শুঁটকি মাছ রপ্তানি করে অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক অর্থ। বিল ও নদীর পানি কমতে শুরু করায় সাঁথিয়া উপজেলার ঘুঘুদহর বিল, সোনাই বিল, বড় বিল, ছোট বিল, চলন বিল ও মুক্তরের বিল এলাকায় চলছে মাছ শুঁটকি করার ধুম। বিল এলাকার গ্রামের মধ্যে ঢুকলেই চোখে পড়ে শুঁটকির চাতাল। এর পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে সুগন্ধি মিললেই বোঝা যায় কোথায় যেন শুঁটকি মাছের চাতাল আছে। এলাকার বিভিন্ন সড়কে পতিত জমিতে দেখা যায় শুঁটকির চাতাল। সাঁথিয়ার ঘুঘুদহর বিল, সোনাই বিল, বড় বিল, ছোট বিল, মুক্তরের বিল, চাটমহরের চলন বিল ও সুজানগরের গাজনার বিল থেকে আমদানি করা হয় মাছ। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি মাছ, বাইম মাছ, চাঁদা মাছ, টাকি মাছসহ বিভিন্ন দেশিয় জাতের মাছ। চলতি মৌসুমে এসব চাতালে কোটি কোটি টাকা মূল্যের ১২০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন শুঁটকি উতপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা সরাসরি চাতাল থেকে পছন্দের শুঁটকি মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। শুঁটকি মাছের মান ভেদে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেডে বাছাই করা হয়। ‘এ’ গ্রেডের (ভালো মানের) শুঁটকি মাছ মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, বাহরাইন, দুবাই, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ প্রায় ২০টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। সাধারণত এসব দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে রয়েছে মিঠা পানির শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা। তিন কেজি তাজা মাছ শুকিয়ে এক কেজি শুঁটকি তৈরি হয়। প্রকার ভেদে শুঁটকির বাজার মূল্য ২০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। চলতি মৌসুমে বিল এলাকা থেকে সংগ্রহকৃত মাছ থেকে ১১০ থেকে ১২৫ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা হবে বলে শুঁটকি ব্যবসায়ীসূত্রে জানা গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এই খাত আরও সম্প্রসারিত হবে এবং দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগবান করবে এ প্রত্যাশা সবার।
বিষয়: বিবিধ
৮৪৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুঁটকি কি বাইরের দেশের লোকেরা আসলেই খায় , নাকি হুদাই পোস্টাইলেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন