সেবাবান্ধব ও জনবান্ধব করতে নানা উদ্যোগ পুলিশে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৫ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:৫১:২৫ বিকাল
পুলিশের অপরাধ প্রবণতা কমাতে, সেবার মান বৃদ্ধি ও থানাকে জনবান্ধব করতে নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদসহ সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমাতে এই উদ্যোগ। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কিছু দুনীর্তিবাজ কর্মকর্তা মাদক বা অস্ত্র দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরপরাধ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়াসহ নানা অপরাধ করে যাচ্ছে। পুলিশের ঐসব সদস্যের হয়রানিমূলক আচরণের রোধে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এমনকি নিখোঁজ যুবকদের তালিকা করে অনুসন্ধান ও তদারকি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ব্যক্তি এবং বিদেশীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য নানা পরিকল্পনা কাজ করা হচ্ছে। আর ডিএমপি ৪৯টি থানার এসব সার্বিক কর্মকাণ্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারক করার অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি পদমর্যাদার ৮ পদস্থ কর্মকর্তার মধ্যে থানা ভাগ করে দেয়া হয়েছে। থানার সার্বিক কর্মকাণ্ড ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারক করা তাদের দায়িত্ব। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদসহ সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তারা পুলিশ কমিশনারের কাছে বার্তা পৌঁছে দেবেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ওসি, ডিসিদের পাশাপাশি এই ৮ কর্মকর্তাকে পুলিশ কমিশনারের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের থানা পরিদর্শন করে থানার হেফাজতে ব্যবহৃত মালামাল ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কোন আসামিকে আটকের পর গাড়িতে রেখে তদবির কিংবা টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে দেয়ার দেনদরবার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। বিভাগীয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছাড়া থানা থেকে সিভিল টিম বের না হতে বলা হয়েছে। পুলিশের কিছু সদস্যের হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা আমলে নিয়ে হয়রানি বন্ধে পেন্ডিং মামলায় কাউকে শ্যোন এ্যারেস্ট করতে হলে সংশ্লিষ্ট জোনাল এসির অনুমতি লাগবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে। এছাড়া মাদক বা অস্ত্র দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরপরাধ লোকের বিরুদ্ধে মামলা না দেয়া, একই কর্মকর্তা প্রতিদিন একই ধরনের ডিউটি করতে পারবে না। মামলার তদন্ত শেষে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে এমন আদেশ দেয়া হয়।মাঠ পুলিশের সেবা বাড়াতে নিয়মিত ও কার্যকর উঠান বৈঠক আয়োজন করা। সংগৃহীত ভাড়াটিয়ার তথ্য দ্রুত তদারকি, যাচাই বাছাই ও মুলতবি থাকা অনিষ্পন্ন আলামত প্রসিকিউশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিষ্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। জঙ্গী প্রতিরোধে ব্লক রেইড ও চেকপোস্টে তদারকি, নিখোঁজ যুবকদের তালিকা করে অনুসন্ধান ও তদারকি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ব্যক্তি এবং বিদেশীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৮১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন