প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে নারী জনশক্তি রপ্তানিতে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৩ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:৩৬:২৪ বিকাল
সম্প্রতি বিদেশে পুরুষ কর্মী প্রেরণে কিছুটা ভাটা পড়লেও নারীদের হার বেড়েছে। গত ১০ বছরে বিভিন্ন দেশে নারী শ্রমিক রপ্তানি বেড়েছে ছয় গুণ। ১৯৯১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এক যুগে বিদেশে গেছেন মাত্র ১৮ হাজার ৭৮৫ জন নারী। সেখানে শুধু ২০০৪ সালেই বিদেশে নারী শ্রমিক যাওয়ার হার বেড়ে যায় পাঁচ গুণ। ২০০৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৪৫ জন। আর ২০১৫ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ তিন হাজার ৭১৮ জনে।অর্থাৎ এক দশকে বিদেশে নারী শ্রমিক যাওয়ার হার বেড়েছে ছয় গুণ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশে পাঠানো হয়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন নারীকে।গত আড়াই দশকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭১ জন নারী। তাঁদের অনেকেরই ভাগ্য বদলাচ্ছে। তবে বিপরীত ঘটনাও কম নয়। বিদেশে মালিকের অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে অনেকেই খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। তার পরও ভাগ্যান্বেষী নারীদের বিদেশ যাত্রা থেমে নেই। প্রতিদিনই বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন শত শত নারী শ্রমিক। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে এ বছর গত বছরের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর সৌদি আরবে গেছেন মাত্র ২০ হাজার ৯৫২ জন নারী কর্মী। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে পাঠানো হয়েছে ৫২ হাজার ৬২৬ জন নারী কর্মী। এই হার গত বছরের আড়াই গুণ। এ ছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জর্দানে ১৭ হাজার ৩২৫, ওমানে ১০ হাজার ১২০, কাতারে চার হাজার ৪৬০ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে চার হাজার ৭৬ জন নারী কর্মী পাঠানো হয়েছে। বিদেশে যাওয়া নারীর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গৃহকর্মী। কিছু যাচ্ছেন গার্মেন্টকর্মী হিসেবে। জর্দানে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার নারী কর্মী পোশাকশিল্প খাতে কাজ করছেন। সৌদি আরবের মতো বিশাল শ্রমবাজার ধরে রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা ও নির্ভরতার জন্য একজন নারী কর্মীর সঙ্গে একজন পুরুষও সৌদি আরবে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আরো একজন রক্ত সম্পর্কীয় পুরুষকে বোনাস কর্মী হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। এ কারণে চলতি বছর থেকে সৌদি আরবে নারী কর্মী রপ্তানি অনেকটা বেড়ে গেছে।
বিষয়: বিবিধ
৮০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন