অগ্রাধিকার দিতে হবে তরুণদের কর্মসংস্থানে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ নভেম্বর, ২০১৬, ০৩:৫৮:০৭ দুপুর
বিশ্বে এ মুহূর্তে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণের সংখ্যা ১৮০ কোটি; মোট জনসংখ্যার প্রতি চারজনে একজন। আর বাংলাদেশে তরুণদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। শক্তি, উদ্যম, উৎপাদনশীলতা, সৃজনশীলতায় তরুণরা অন্যদের চেয়ে অগ্রগামী। তরুণদের এই বিপুল সংখ্যা দেশের জন্য একটি বিরাট আশীর্বাদ। প্রতি বছর দেশের শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ তরুণ। তবে কর্ম সংস্থান সৃষ্টির পশ্চাৎপদতায় সম্ভাবনাময় এই তরুণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ তরুণকেই আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। কর্মহীনতার হতাশায় অপচয় হচ্ছে তারুণ্যের কিংবা পথভ্রষ্ট হয়ে জঙ্গিবাদসহ জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে। বর্তমানে উন্নত, কি উন্নয়নশীল সব দেশেই কর্মসংস্থান একটি বড় সমস্যা, আর এ সমস্যার সবচেয়ে বড় শিকার তরুণেরা। দেশে তরুণদের সক্ষমতা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মে নিয়োজিত করা গেলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দ্রুতায়িত হয়ে সামাজিক ক্ষেত্রেও তার শুভ প্রভাব প্রতিফলিত হতো। বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে অনুকরণীয় সাফল্য অর্জন করেছে যার প্রশংসা জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা করেছে। তবে তরুণদের যথাযথভাবে ব্যবহার করা ছাড়া কোন দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারে না। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে তরুণদের সক্ষমতা, শ্রম, উদ্যোগ ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানো না গেলে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কি? দেশের কর্মক্ষম প্রতি জোড়া হাতকে কাজে লাগাতে হলে কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। তরুণদের জন্য দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সকল সম্ভাবনা ও সুযোগ কাজে লাগাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অনতিবিলম্বে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নয়তো যে তরুণেরা বিবেচিত হয় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে তাদের অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়ে ‘অভিশাপে’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে তরুণদের কর্মসংস্থানকে সর্বাত্মক অগ্রাধিকার দিয়ে উপযুক্ত কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশের সর্বাত্মক কল্যান আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তথা স্বনির্ভরতা অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে অচিরেই বিকশিত হবে কর্মসংস্থানের নব নব ক্ষেত্র - নিশ্চিত হবে দেশের তরুণদের কর্মশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার – নিশ্চিত হবে দেশের সকল কর্মক্ষম নাগরিকের কর্মসংস্থান, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
বিষয়: বিবিধ
৯০৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন