ভিআইসি
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:২১:১৯ বিকাল
দায়বদ্ধতায় উজ্জীবিত বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের নির্বাচনী ইস্তেহার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে একের পর এক প্রযুক্তি বান্ধব নাগরিক সেবা অবকাঠামো নির্মাণ এবং এর সুফল সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে মিরপুরের বিআরটিএ-তে গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার বা ভিআইসি সেবা কার্যক্রম ম্যানুয়েল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুপান্তরিত করে পুনরায় সচল করা হয়েছে। এখন থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা শেষে সনদ সনদ করা হবে। দেশের সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ভবিষ্যতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদানের ডিজিটাল কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিভাগীয় শহর এবং জেলা পর্যায়ে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এতে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে পরিবহণের ফিটনেস সনদ দেয়ার পাশাপাশি ফিটনেস প্রদানে বিদ্যমান দুর্নীতি কমবে ও এ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। মিরপুরে শুরু করা ভিআইসি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং কোরিয়ার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-কোইকা’র অনুদান ২১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বিআরটিএ'র আরও চারটি আঞ্চলিক কার্যালয়েও ভিআইসি স্থাপনে কোরিয়া অর্থায়ন করবে বলে জানা গেছে। ডিজিটাল ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক পরীক্ষায় যানবাহনের ফিটনেস সনদ প্রদানে যে পদ্ধতিগত উন্নয়নের সূচনা হলো তাতে সড়কে ত্রুটিমুক্ত যানবাহন নিশ্চিত হওয়ায় দুর্ঘটনার হার অনেকটা কমে আসবে বিধায় সড়ক ও জন নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। সরকারের এ ধরনের নানা গণমুখী উদ্যোগের কল্যাণেই প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ, আমাদের বিষ্ময়কর অগ্রগতির অব্যাহত অগ্রযাত্রায় বিষ্মিত হচ্ছে পৃথিবী। সরকারের কল্যাণমুখী কার্যক্রমের পরিধি আরও বিস্তৃত হয়ে জন জীবনকে সহজ আর সাবলীল করে তুলবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।
বিষয়: বিবিধ
৮৫০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন