সত্যায়ন ছাড়াই পাসপোর্টের মেয়াদ এখন ১০ বছর
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ০৭:১১:৪৫ সন্ধ্যা
বর্তমান পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর। যা খুবই অল্প সময়। পাসপোর্ট পুনরায় রি-ইস্যু করা একটা ভোগান্তির ব্যাপার। সেইসঙ্গে পাসপোর্টে করতে হয় সত্যায়ন। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছরের স্থলে ১০ বছর করা হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে উঠে যাচ্ছে পাসপোর্টের সত্যায়ন। যে সত্যায়ন নিয়েই সাধারণ লোকজন পাসপোর্ট করতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন। সত্যায়নকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্টদের পকেটের টাকা হাতিয়ে নেয় এক শ্রেণির দালাল চক্র। চক্রটি অফিসের সামনে ঘুরে বেড়ায়। কোনো ব্যক্তি এলেই তাকে প্রস্তাব দেয় সিল যেখানে লাগে তারা করে দেবে। বিনিময়ে একেক জনের কাছে একেক রকম টাকা দাবি করে তারা। লোকজনেরও দরকার, বিধায় তারা সত্যায়নের জন্য টাকা প্রদান করে থাকে। কিন্তু সত্যায়ন উঠে গেলে ব্যাগে সিল নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সামনে আর ঘোরাঘুরি করতে পারবে না দালালরা। তখন সাধারণ মানুষ এই ঝামেলাপূর্ণ কাজ থেকে রক্ষা পাবেন। পাসপোর্ট করতে এসে সাধারণ মানুষ আগের মতো হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। মোটামুটি দালালমুক্ত পরিবেশে সবাই পাসপোর্ট করে ঘরে ফিরতে পারছেন। আর বর্তমান সরকারের গৃহীত এই নতুন পদক্ষেপে জনগণের ভোগান্তি আরও দূর হবে বলে আশাবাদী বাংলার সুশীল সমাজ।
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মানুষ শখে পাসপোর্ট করতে আসে না , জরুরী প্রয়োজন পড়ে যায় বিধায় আসে । সেটা তাড়াতাড়ি হলে তার জন্য ভাল । কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের তো নানা প্রকারের কাব ঝাব । এই লাগবে , সেই লাগবে । ব্যাংক ড্রাফট, এত দিনের মধ্যে চাইলে এত টাকা .... হেন তেন কত কাহিনী ! আর পুলিশ ভেরিফিকেশন তো মহা প্যারা !
এইসব লিঙ্গারিং সিস্টেম করে রাখেই তো দালালদের আবির্ভাবের জন্য এবং তাদের কাছ থেকে বিনা পরিশ্রমে টাকা হাতানোর জন্য ।
যেই নতুনত্বই আনুক না কেন এক্সিস্টিং মেন্টালিটির জনবল ঠিকই সিস্টেম বের করে ফেলবে ।
কারণ দালালদেরও দরকার কিছু করে খাওয়ার আর উনাদেরও দরকার বাড়তি রোজগারের।
কবে থেকে ১০ বছরের মেয়াদ চালু হচ্ছে????
দালাল ছাড়াতো অফিসাররা কথাই বলেন না, আমার পাসপোর্ট করার সময় আমি নিজে সরাসরি ব্যাংক ড্রাফট করে ডাইরেক্ট পাসপোর্ট অফিসে ধরনা দেই, রিসিপ্টশনের প্রথম প্রশ্ন: কার মাধ্যমে এসেছেন??????
সরাসরি আসার কথা বলতেই দশেক ভুল ধরিয়ে দিল।
ব্যস ভোগান্তির শুরু, তিন দিনেও শেষ হয়নি, অবশেষে লীগ নেতার মধ্যস্থতায় (টাকার মাধ্যমে) পাসপোর্ট করতে হলো।
যে লাউ সে কদু।
মন্তব্য করতে লগইন করুন