২০১৮ সালের মধ্যে স্থাপিত হবে নেপালের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০৩:৪৪:৪৮ দুপুর
চলমান বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট হলো বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক একত্রীকরণ অর্থাৎ অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিবিড়করণ। বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে এ ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্কের নিবিড়করণ সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত সড়ক, রেলওয়ে এবং নদীপথে ভ্রমণ ও মালামাল আদান প্রদানের ব্যবস্থা। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন একটি দেশের
সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি, যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা থাকলে দেশের উন্নয়নই শুধু ব্যাহত হয় না বরং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ সব খাতে দেখা দেয় মন্থরগতি। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গত প্রায় আট বছরে বাংলাদেশের সড়ক, রেল, লঞ্চ ও আকাশপথের যোগাযোগে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, যে ধারাকে আমরা বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। উন্নত দেশের মতো বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে যোগাযোগ খাত। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এখন শুধু দেশীয় কেন্দ্রীক বিবচনা করছে না এটিকে বহির্বিশ্বের সাথে সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সরকার। নেপালের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে। ২০১৮ সালের মধ্যে নেপালের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য স্থাপনের জন্য রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। নেপাল বাংলাদেশের মংলা বন্দর থেকে রেলের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেয়ার কাজ করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এ জন্য বাংলাদেশ-ভারত এবং নেপাল যৌথভাবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রাথমিক আলোচনা শেষে হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন