একজন সহকর্মীর মৃত্যু ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৩ অক্টোবর, ২০১৬, ০৩:৫৪:২৪ দুপুর
ব্যাংকক দূতাবাসে কর্মরত মাত্র ৪৫ বছরের সহকর্মী জামালের মৃত্যু কোনভাবেই মানতে পারছি না। ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের দোতালায় কথা বলতে বলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জামাল। যে ব্যাংককে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য যাই আর সেখানেই কিনা দীর্ঘ প্রায় এক বছর থাকা জামালের হার্টএ্যাটাকে অকস্মাৎ মৃত্যু। তিন সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তানের বয়স মাত্র ৪ বছর। বনানী কবরস্থানে দাফনের সময় ভাবলেশহীন ৪ বছরের বিনতী যেন বুঝতেই পারছে না যে, আজীবনের জন্য তার প্রিয় বাবা হারিয়ে গেল। যে বাবার চিন্তায় আদরের ছোট কন্যা বিনতীর জন্য সবসময় উৎকণ্ঠা, আর আদর ছিল, তা চিরজীবনের জন্য হারিয়ে গেল। কবরস্থানে শুধু ভাবছিলাম, মৃত্যু এতো সত্য- এতো নিশ্চিত, তবুও আমরা এক মুহুর্তের জন্যও স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করিনা। সরকার ও জনগনের সম্পত্তি লুট, ঘুষ, দূর্ণীতি, অবৈধ কার্যকলাপ আর অপরের জায়গা জমি দখলে ব্যস্ত। পরকীয়ায় মত্ত। দিন দিন আমরা অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। ভালবাসার মানুষকে এসিড মেরে ঝলসে দিচ্ছি। ইয়াবার উম্মাদনায় জন্মদাতা বাবা-মাকে খুন করছি। খাদিজার মতো হাজারও নিরীহ মেয়েকে আমরা সবার সামনে নির্বিচারে ছুরিকাঘাতে হত্যা করতে গেলেও কেউ ইমরানের মতো উদ্ধারে না গিয়ে বিকৃত মানসিকতায় সেলফি আর রেকডিং এ ব্যস্ত। ইয়াবা আর ড্রাগস আমাদের স্কুল-কলেজ এর কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, যুব সমাজ আর তরুন-তরুনীর কাছে হয়ে উঠেছে জীবনের সবকিছু। সব কাজের জন্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আমরা কেন এতো অন্যায় করছি .. .. .. . . . . . কেন এতো ঔদ্ধত্য।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন