বহু প্রতিক্ষার পর ইন্টারনেট জগতে ‘ডট বাংলা’ চালুর অনুমোদন পেল বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৬ অক্টোবর, ২০১৬, ০৮:২৫:১৪ রাত
বাংলাভাষী মানুষ হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি, আমাদের একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে। কেননা আমরাই একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রক্ত দিয়েছি। বর্তমানে এটি ইউনেস্কো ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। জাতির আবেগ ও অনুভূতি এই ভাষার সাথে জড়িত। ইন্টারনেট জগতে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়ের ও বাংলা ভাষার স্বীকৃতি হিসেবে অবশেষে ডট বাংলা (.বাংলা) ডোমেইন চালুর অনুমোদন মিলল। গতকাল বুধবার ইন্টারনেট করপোরেশন অব অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (আইসিএএনএন) এ অনুমোদন দিয়েছে। ডোমেইনটি পেতে সিয়েরা লিওনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বাংলাদেশের পক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের হয়ে আইসিএএনএনের কাছে তথ্য তুলে ধরা হয় যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে। ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এ ভাষার ওপর বাংলাদেশের জনগণের অধিকার সর্বাগ্রে। অবশেষে আইসিএএনএন ডট বাংলা ডোমেইনটি বাংলাদেশের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে। এখন এ ডোমেইন (ডট বাংলা) চালু হলে সেটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ডোমেইন। ‘ডট বিডি’ নামে আরেকটি ডোমেইন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। তবে সেটি ইংরেজিতে লেখা। কিন্তু ‘ডট বাংলা’ লেখা থাকবে বাংলাতেই। ডট বাংলা ডোমেইনটি চালু হলে তা একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়ের এবং বাংলা ভাষার স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে। ইন্টারনেট অ্যাসাইনড নাম্বারস অথরিটির (আইএএনএ) তালিকায় বাংলা ভাষায় লেখা ডোমেইন হিসেবে ‘ডট বাংলা’ হচ্ছে দ্বিতীয়। বাংলাদেশ ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আইসিএএনএনের কাছে আবেদনের পর ২০১১ সালে ডট বাংলা ডোমেইনটির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়। পরের বছর আইএএনএরও অনুমোদন মেলে। ভারতও ২০১০ সালে বাংলাদেশের পাশাপাশি এ ডোমেইনের অধিকার পেতে আবেদন করে। সব দিক বিবেচনা করে আইসিএএনএন তখন ডোমেইনটি বাংলাদেশকেই বরাদ্দ দেয়। কিন্তু চালুর অনুমোদন না থাকায় এত দিন এর স্পন্সরিং অর্গানাইজেশন সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না। পাঁচ বছর আগে ডট বাংলা ডোমেইনটি নিবন্ধন পেলেও এটি কার্যকর করাতে দেরি হওয়াতে এর অধিকার হারাতে বসেছিল বাংলাদেশ।বাংলা চালুর ফলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ মাতৃভাষায় ইন্টারনেটে প্রবেশ ও ব্যবহার করতে পারবে। এর ফলে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার বৃদ্ধিসহ বাংলা কনটেন্ট তৈরি উৎসাহিত হবে।এ বরাদ্দের ফলে ডিজিটাল জগতে বাংলা আরো একধাপ এগিয়ে গেল।
বিষয়: বিবিধ
৮৪৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন