নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পীড ট্রেন রুট
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৩:৪৪:৩৩ দুপুর
সময় এবং দূরত্ব কমাতে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলরুট ঢাকা-চট্টগ্রামে চালু হবে হাইস্পীড বুলেট ট্রেন। ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতির এ ট্রেনে চড়ে দুই ঘণ্টারও কম সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করা যাবে। এজন্য বিদ্যমান রুট সংস্কার করে নির্মাণ করা হবে দ্রতগতির রেলপথ। এর ফলে বর্তমান ৩২০ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে যাবে অন্তত ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে। দুই বছর মেয়াদে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইনের কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সেকশন বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করিডর। এ করিডরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার। বর্তমানে ঢাকা থেকে ট্রেন বৃত্তাকার পথে টঙ্গী-ভৈরববাজার-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রামে পৌছে। এতে ভ্রমণে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়, ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগে। প্রস্তাবিত দ্রুতগতির রেলপথটি যাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মধ্য দিয়ে। এই পথে ঢাকা থেকে কুমিল্লা/লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাইস্পীড ট্রেন লাইন নির্মাণ করা হলে সেকশনের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার কমে যাবে। একই সঙ্গে ভ্রমণ সময়ও কমবে প্রায় দুই ঘণ্টা। এতে যাত্রীদের সময় বাঁচার পাশাপাশি রেলের পরিচালন ব্যয়ও (অপারেটিং কস্ট) কমবে। একইভাবে কমবে পরিবহন ব্যয়ও। মূল রেললাইন নির্মাণে চীনের সঙ্গে জি টু জি ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১২ জোড়া ট্রেনের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যায়। আগামী ১০ বছরে এ রুটে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৭৯ লাখ। তখন এসব যাত্রী পরিবহনে কমপক্ষে ২৮ জোড়া ট্রেন চালাতে হবে। আর ২০ বছর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বছরে প্রায় এক কোটি যাত্রী চলাচল করবেন। এসব যাত্রী পরিবহনে তখন দৈনিক ৪২ জোড়া ট্রেন চালানোর প্রয়োজন হবে। বিদ্যমান রেলপথ ও ট্রেন দিয়ে এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এ জন্য হাই স্পীড ট্রেন চালু করা জরুরী। যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি এ পথে বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টন পণ্য পরিবহন করাও সম্ভব হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সফলভাবে হাইস্পীড ট্রেন চালু করতে পারলে এটিকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার সুযোগ থাকবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে হাইস্পীড ট্রেন চললে সম্ভাব্য যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে পর্যটকরা দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছতে পারবে। এতে রেল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটন খাত দ্রুত লাভবান হবে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৯৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন