দেশে নীরবেই বাড়ছে স্বাক্ষরতার হার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৫৯:৪২ দুপুর
সাম্প্রতিক কোনো জরিপ না হলেও দেশে অনেকটা নীরবেই বাড়ছে স্বাক্ষরতার হার। শুধু সই নয়, এখন তিনটি সূচকে নির্ধারণ করা হয় সাক্ষরতার হার। পরিবারের সচেতনতা এবং সরকার-বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় গত সাত বছরে স্বাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশ। বয়স্ক মানুষদের শিক্ষা দিয়ে স্বাক্ষরতার হারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশের ৬৪ জেলার জন্যও একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। দেশের ৬৪ জেলায় ২৫০ উপজেলায় ৪৫ লাখ বয়স্ক (১৫ থেকে ৪৫ বছর) মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় নিয়ে মৌলিক স্বাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। ২০১১ সালে দেশে ৭ বছরের ঊর্ধ্বে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫৫.৮ শতাংশ, ২০১৫ সালে তা হয়েছে ৬৩.৬ শতাংশ। আর ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ২০১১ সালে ছিল ৫৮.৮ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে তা ৬৪.৬ শতাংশ হয়েছে। সরকার দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে বদ্ধপরিকর। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্তমান সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা কর্মসূচির আওতায় এনেছে। পাশাপাশি তাদের দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের কারণে ঝরেপড়া রোধ করতে উপবৃত্তি কর্মসূচি এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে বিদ্যালয়গামী উপযোগী শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরেপড়ার হার হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত সাড়ে সাত বছরে স্বাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৮৬০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটাই কি শিক্ষার মানদন্ড সারাবিশ্বে ? হাতের লিখা স্বাক্ষরের চেয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ আরও বেশী একসেপটেবল যেটার জন্য পড়াশুনা করা লাগে না ।
শিক্ষার মান যে কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে সেটা আগামী ৫/১০ বছরের মধ্যেই টের পাওয়া যাবে।
আশংকা হচ্ছে, ''দক্ষ জনবলের অভাব'' - এই ধোয়া তুলে আবার না পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের লোকদের আনার প্রস্তাব দেওয়া হয় সংস্থাপন মণ্ত্রনালয় থেকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন