বাংলার বাঘিনী

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২২ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:৩৫:১১ দুপুর



২০১৩ সালে কিয়েভে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ও কাজানে গ্রীষ্মকালীন ইউনিভার্সিয়াদে অল-অ্যারাউন্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম সবার নজর কাড়েন মার্গারিতা, মা-বাবা যাঁকে ডাকেন রিতা নামে। ওই সময়ই রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে তাঁকে নিয়ে শুরু হয় হইচই। রুশ ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্ত-এ তাঁকে নিয়ে করা হয়েছিল প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। স্থানীয় গণমাধ্যম তাঁর নাম দেয় ‘বাংলার বাঘিনী’। ২০১৫ সালে বাকুতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে হুপে জেতেন সোনা, অল-অ্যারাউন্ডে রুপা। বার্লিনে ২০১৩ সালের গ্রাঁ প্রিতে, পরের বছর অস্ট্রিয়ার ইনসব্রাকে এবং গত বছর চেক প্রজাতন্ত্রের ব্রনোতেও অল-অ্যারাউন্ডে সোনা জিতেছিলেন রিতা। তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাশিয়ারই ইয়ানা কুদ্রাভতসেভাকে হারিয়ে রিও অলিম্পিকে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন মার্গারিতা মামুন। মার্গারিতার স্কোর ৭৬.৪৮৩। হিটে প্রথম হয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। তাতে সবাইকে মুগ্ধ করে ছাড়িয়ে গেলেন হিটের স্কোর। পরশু রিওতে যখন সোনা জিতলেন, টেলিভিশন ধারাভাষ্যকারও মার্গারিতার নামের সঙ্গে ‘বেঙ্গল টাইগার’ শব্দটি উচ্চারণ করছিলেন বারবার। চেহারায় বাঙালিয়ানা লাবণ্য। রিতা যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত! বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর দুর্গাপুরের সন্তান। মা আনা রাশিয়ার সাবেক জিমন্যাস্ট। আশির দশকে আবদুল্লাহ আল মামুন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করতে গিয়ে সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়ে যান। রিতার জন্ম মস্কোতেই। জন্মভূমি রাশিয়া হলেও রিতা সোনা জেতার পর সাফল্যটা উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ-রাশিয়া দুই দেশকেই, তার ভাষায় ‘আমার এই জয় দুই দেশের জন্যই।’ বাংলাদেশের হয়ে একবার অবশ্য জার্মানিতে জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন রিতা। বাংলাদেশ ও রাশিয়া দুই দেশেরই পাসপোর্ট আছে তাঁর। এবারও ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে মর্যাদাপূর্ণ এ ক্রীড়া মহাযজ্ঞে সফলতার মুখ দেখতে না পারলেও বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হবে এখন সবার মুখে মুখে। সেই গর্বটা এনে দিয়েছেন মার্গারিটা মামুন।

২০১৩ সালে কিয়েভে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ও কাজানে গ্রীষ্মকালীন ইউনিভার্সিয়াদে অল-অ্যারাউন্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম সবার নজর কাড়েন মার্গারিতা, মা-বাবা যাঁকে ডাকেন রিতা নামে। ওই সময়ই রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে তাঁকে নিয়ে শুরু হয় হইচই। রুশ ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্ত-এ তাঁকে নিয়ে করা হয়েছিল প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। স্থানীয় গণমাধ্যম তাঁর নাম দেয় ‘বাংলার বাঘিনী’। ২০১৫ সালে বাকুতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে হুপে জেতেন সোনা, অল-অ্যারাউন্ডে রুপা। বার্লিনে ২০১৩ সালের গ্রাঁ প্রিতে, পরের বছর অস্ট্রিয়ার ইনসব্রাকে এবং গত বছর চেক প্রজাতন্ত্রের ব্রনোতেও অল-অ্যারাউন্ডে সোনা জিতেছিলেন রিতা। তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাশিয়ারই ইয়ানা কুদ্রাভতসেভাকে হারিয়ে রিও অলিম্পিকে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন মার্গারিতা মামুন। মার্গারিতার স্কোর ৭৬.৪৮৩। হিটে প্রথম হয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। তাতে সবাইকে মুগ্ধ করে ছাড়িয়ে গেলেন হিটের স্কোর। পরশু রিওতে যখন সোনা জিতলেন, টেলিভিশন ধারাভাষ্যকারও মার্গারিতার নামের সঙ্গে ‘বেঙ্গল টাইগার’ শব্দটি উচ্চারণ করছিলেন বারবার। চেহারায় বাঙালিয়ানা লাবণ্য। রিতা যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত! বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর দুর্গাপুরের সন্তান। মা আনা রাশিয়ার সাবেক জিমন্যাস্ট। আশির দশকে আবদুল্লাহ আল মামুন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করতে গিয়ে সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়ে যান। রিতার জন্ম মস্কোতেই। জন্মভূমি রাশিয়া হলেও রিতা সোনা জেতার পর সাফল্যটা উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ-রাশিয়া দুই দেশকেই, তার ভাষায় ‘আমার এই জয় দুই দেশের জন্যই।’ বাংলাদেশের হয়ে একবার অবশ্য জার্মানিতে জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন রিতা। বাংলাদেশ ও রাশিয়া দুই দেশেরই পাসপোর্ট আছে তাঁর। এবারও ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে মর্যাদাপূর্ণ এ ক্রীড়া মহাযজ্ঞে সফলতার মুখ দেখতে না পারলেও বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হবে এখন সবার মুখে মুখে। সেই গর্বটা এনে দিয়েছেন মার্গারিটা মামুন।

বিষয়: বিবিধ

৯৪৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

376665
২৩ আগস্ট ২০১৬ রাত ১২:৫০
আসমানি লিখেছেন : গুরুত্বপূর্ণ খবর টা দু বার না লিখে তিন বার লিখা উচিৎ ছিলো মনে হচ্ছে।
376678
২৩ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৯:১৪
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের হয়ে নাকি সে খেলতে চেয়েছিল । কিন্তু ফিগার স্কেটিং খেলা কি জিনিস সেটা বাংলাদেশের অলিম্পিক ফেডারেশন বুঝে ?

ও যদি বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিত তাহলে অন্যান্যদের মত হিটেই বাদ পড়ে যেত ।

রিতার এই স্কেটিং প্রতিভা এসেছে তার জিমন্যাস্ট মায়ের কাছ থেকে যে একজন রাশান । তার বাবা মনে হয় ইন্জিনিয়ার না জানি কি ।

তাহলে তাকে বাংলার বাঘিনী বলা কি ঠিক হচ্ছে ?


বছর ১৫-২০ আগে আমেরিকায় অনুষ্ঠিত ববি ফিশার দাবায় (ছোটদের)বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এক ছেলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চেয়েছিল । তাকে দলভুক্ত না করে ফেডারেশনের কোন এক হোমড়া চোমড়ার ছেলে/ভাতিজাকে পাঠানো হয়েছিল । এই ভাতিজা কি করেছে জানি না , তবে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান ছেলেটি প্রতিযোগিতায় চাম্পিয়ান হয়েছিল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File