সুদিন আসছে কৃষিতে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:৩৫:১০ দুপুর
কৃষিতে বিপ্লবের নিমিত্তে সরকার সুম্ভাব্য সকল কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে সম্প্রতি সরকার অনুমোদন দিয়েছে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ রোডম্যাপ’, যা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী কর্মযজ্ঞ। মহা এই কর্মপরিকল্পনায় তিন ধাপে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিভিন্ন টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে শস্য রোপণে ২০ শতাংশ পর্যন্ত যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। রোপণ প্রক্রিয়ায় বর্তমানে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার হলেও ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার তা ৮০ শতাংশে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষেত্রবিশেষে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্য থাকলেও ’৪১ সালের মধ্যে কৃষির প্রায় ৮০ শতাংশ যন্ত্র ব্যবহারের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রান্তিক কৃষকের মাঝে যান্ত্রিক সুবিধা সম্প্রসারণে কৃষক পর্যায়ে ভাড়ায় কৃষি যন্ত্রপাতি সেবা প্রদান প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এতে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ এবং কৃষির পদ্ধতিগত ও কাঠামোগত পরিবর্তন আনা জরুরী। এছাড়াও দেশীয় যন্ত্র প্রস্তুতকারকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের দিকে জোর দিতে হবে। কৃষিক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। শ্রমিকরা গ্রাম থেকে শহরে চলে যাওয়ায় বেড়ে চলছে মজুরি, অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হচ্ছে সময় শক্তি। এমন সব পরিস্থিতিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অনিবার্য। কৃষকের কাছে যন্ত্রপাতি সহজলভ্য করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যন্ত্র তৈরিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান যাতে এগিয়ে আসে এবং তারা বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হয় সেদিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, একইসঙ্গে উপযুক্ত বিদেশী যন্ত্রকে প্রাধান্য দেয়ার হবে।
বিষয়: বিবিধ
৮২৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন