বাংলার তরুনের সাফল্য
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১১ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:২৩:৪২ দুপুর
দুটি হাত। মানবদেহের অপরিহার্য অঙ্গ। প্রতিদিন ছোট-বড় কত কাজ হয় এই হাত দিয়ে। যার একটি হাত নেই, তিনি অন্য হাত দিয়ে হয়ত প্রয়োজন মেটাতে পারেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে দুর্ঘটনায় যিনি দুটি হাত হারিয়েছেন তিনি কিভাবে সারেন দৈনন্দিন কাজ? হ্যাঁ, তিনিই অনুধাবন করেন অঙ্গটির গুরুত্ব। কিন্তু এবার সেই হাত না থাকা মানুষের কষ্ট অনুধাবন করে বাংলার দামাল ছেলে চট্টগ্রামের এমএম করিম চৌধুরী রায়হান আবিষ্কার করেছেন অনুভূতিসম্পন্ন কৃত্রিম হাত। এতদিন কৃত্রিম হাত তৈরি হলেও তা ছিল কেবল কাঠামোসম্পন্ন। এবার সুখবর হলো, রায়হানের তৈরি এই হাত স্বাভাবিক হাতের মতো কাজ করতে সক্ষম। সরকার বা কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে সাধারণ হাতের মতোই এই হাতের অবয়ব দেয়া সম্ভব। আর ব্যাপক আকারে তা কার্যকর করা গেলে দুর্ঘটনায় যাদের অঙ্গহানি ঘটে, বদলে যাবে তাদের জীবন। স্বাভাবিক মানুষের মতোই তারা দৈনন্দিন কাজ সারতে পারবেন। হ্যান্ডশেক করার ইচ্ছে পোষণ করলে সেটিও করতে পারবে, মুষ্টি করতে চাইলে মুষ্টিবদ্ধ করা যাবে। সব মিলিয়ে ব্রেনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব কাজই এই হাত দিয়ে সম্পন্ন করা যাবে। যাদের দুটি হাত নেই, তাদের কষ্টের চিন্তা থেকেই অনুভূতিসম্পন্ন হাত আবিষ্কারের চেষ্টা। প্রায় ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২ ফুট দীর্ঘ হাতটি তৈরিতে সময় লেগেছে ১ মাস। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে লোহার শিক, প্লাস্টিক, সেন্সর আর মোটরসহ সাধারণ কিছু উপকরণ। এছাড়াও তিনি ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে ‘ট্রেন সেন্সর’, ব্যাংক ডাকাতি রোধে ‘লেজার গান সিস্টেম’ এবং ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানতে ‘ভূমিকম্প পূর্বাভাস যন্ত্র’, যেটি ভূমিকম্পের কয়েক মিনিট আগেই মোবাইলের রিংটোনের মাধ্যমে দিবে পূর্বাভাস। এভাবেই বাংলাদেশী তরুনেরা তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলছে।
বিষয়: বিবিধ
৮৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন