কয়েক ঘণ্টা পরেই পর্দা উঠছে রিও অলিম্পিকের
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৪ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:৩৪:৫৪ দুপুর
পর্দা ওঠার অপেক্ষায় বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক গেমসের। সারা বিশ্বের মানুষকে একই সম্পৃতির বন্ধনে আবদ্ধ করার মূল প্রতিপাধ্য নিয়েই শুরু হয় পৃথিবীর সব ক’টি দেশের কয়েক সহস্র অ্যাথলেট নিয়ে এই বৈশ্বিক আয়োজন। ঐতিহ্য, আয়োজন আর জনপ্রিয়তার মানদন্ডে পৃথিবীর আর কোন আয়োজন সহস্রাব্দকাল ধরে এতটা প্রভাব বিস্তার করে, এতটা রাজনৈতিক শক্তি নিয়ে টিকে থাকতে পারেনি। যেটা পেরেছে শুধুমাত্র অলিম্পিক গেমস। গোটা রিও ডি জেনিরো নিরুত্তাপ। সু-সজ্জিত হাইওয়েগুলোর দুই পাশে গেমসের লোগো খচিত ব্যানার দেখা গেলেও আলো ঝলমলে কোন তোরণ চোখে পড়েনি। জন সাধারণের মধ্যে গেমস নিয়ে নেই কোন আগ্রহ। যে যার মতো নিত্য কাজে ব্যস্ত। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। মাত্র দেড় বছরের মধ্যে আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা আরেকটি বড় আসর। ২০৭টি দেশ এবার অংশ নিচ্ছে ৩০৬ পদকের লড়াইয়ে। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা না হলেও ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকে থাকছে লাল সবুজের বাংলাদেশ। রিও অলিম্পিকে স্বাধীনতা পরবর্তী এবারই প্রথম সবচেয়ে বেশি সাত ক্রীড়াবীদ অংশ নিচ্ছে বাংলদেশ থেকে। মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল ১০ হাজার দুই শত তিরানব্বই। সবচেয়ে বেশি ডিসিপ্লিনের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে এবার। মোট ২৮টি। নতুন হিসেবে যোগ হয়েছে রাগবি সেভেনস এবং গলফ। আটলান্টিক মহাসাগরের বিশ্বখ্যাত কোপাকাভানা বিচ ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে ক্রীড়বিদদের সুবিশাল আবাসন ভিলেজ। ১৬ হাজার প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক মিডিয়া সেন্টার। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও ফটোসাংবাদিদের জন্য রয়েছে একই ব্যবস্থা। খেলার ধরন বুঝে ছোট বড় ১৬ নতুন ভেন্যু সবার নজর কাড়তে বাধ্য। এক কথায় গেমস আয়োজনে অর্থ খরচে কোন কার্পণ্য করেনি ব্রাজিল। ফুটবলের দেশেই এবার প্রথমবারের মতো বসতে যাচ্ছে অলিম্পিক আসর। শুধু ব্রাজিল নয়, দক্ষিণ আমেরিকায় এটিই প্রথম অলিম্পিক। ফলে গোটা মহাদেশটির ইজ্জত রক্ষার দায়িত্ব বর্তেছে ব্রাজিলের ওপর, যা তাদের প্রমাণ বা রক্ষা করতে হবে সফল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে।
বিষয়: বিবিধ
৯৪২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন