দেশে পোলট্রিশিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশে সমৃদ্ধির পথে দেশ

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ৩১ জুলাই, ২০১৬, ০৭:১৩:০৮ সন্ধ্যা



একসময় ভাতের সঙ্গে মাছই ছিল বাঙালির আমিষের চাহিদা পূরণের প্রধান উৎস। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে। মাছের পাশাপাশি আমিষের আরেক উৎস মাংসেও অভ্যস্ত হয়েছে এ দেশের মানুষ। তবে সেখানেই থেমে নেই খাদ্য গ্রহণের প্রকৃতি। বরং দুধ ও ডিমের প্রতিও আকর্ষণ বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদনও। ফলে প্রাণিজ আমিষে বাংলাদেশ ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছে। দেশে পোলট্রিশিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশ হচ্ছে। এর ফলে প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে এগিয়েছে দেশ। দেশে প্রাণিজ কৃত্রিম প্রজনন সক্ষমতায় এসেছে বড় সুফল। ২০০৮-০৯ সালে কৃত্রিম প্রজননের হার ছিল ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শেষ ২০১৪-১৫ সালে এর প্রজনন হার এসে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশে। এতে একদিকে যেমন কমছে প্রাণীর মৃত্যুহার, অন্যদিকে নিশ্চিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব। বেড়েছে মাংসের উৎপাদন ও ভোগ। ২০০৭-০৮ অর্থবছরের দেশে প্রাণিজ মাংসের উৎপাদন ছিল ১০ লাখ ৪০ হাজার টন, যা বেড়েছে প্রতিবছরই। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮ লাখ ৬০ হাজার টন। দুধ ও ডিমের উৎপাদন এবং ব্যবহার বাড়ছে মাছের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ২০১৪-১৫ সালের দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৬ হাজার আর ছাগলের সংখ্যা ২ কোটি ৫৬ লাখ ২ হাজার। গরু ও ছাগল উভয়ের সংখ্যাই ২০০৮-০৯ সালের তুলনায় অনেক বেড়েছে। দেশে পোলট্রিশিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশের ফলে প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে এ উল্লম্ফন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ খামারিদের অবদান সবচেয়ে বেশি। কৃষিজমি কমে আসায় দেশের প্রান্তিক জনগণ প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে ঝুঁকছে।

বিষয়: বিবিধ

৭২৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375683
০১ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৯:৫৩
হতভাগা লিখেছেন :


https://en.wikipedia.org/wiki/Poultry

পোল্ট্রি বলতে আগে জানতাম গৃহপালিত পাখি সন্বন্ধীয় । এখন দেখি গরু ছাগলও এখানে ইনক্লুড হয়েছে !

পোল্ট্রি শব্দটা কি এখানে পল্টি খাইলো নাকি ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File