ভয়ংকর নেশাতেই যুবকশ্রেণী নানা অপকর্মে লিপ্ত
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৪ জুলাই, ২০১৬, ০৫:২৫:৫৩ বিকাল
সাম্প্রতিক সময়ের বহুল আলোচিত ঘটনা গুলশান ট্রাজেডি। এটা নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। চলছে জঙ্গিদের নিয়ে বিস্তর গবেষণাও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ ও নেশাজাতীয় ভয়ংকর ড্রাগ ব্যবহার করে জঙ্গি তৎপরতা চালানো হয় বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ক্ষেত্রেও এসব ভয়ংকর ড্রাগ ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষণা চলছে সেইসব যুবক ছেলেদের নিয়েও, যারা তাদের বুদ্ধি-বিবেচনা হারিয়ে এরকম একটা ধ্বংসাত্মক কাজে নিজেদের জড়িয়েছে। এটি এমন একটি ড্রাগ, যা মানুষের মস্তিষ্ককে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এটা কাউকে খাওয়ানোর পর তাকে যে ধরনের নির্দেশ দেয়া হবে, সে তাই করবে। কলম্বিয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী চক্র এটি ব্যবহার করে ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যাশিশুদের শারীরিকভাবে ব্যবহার করত। এজন্য এটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ড্রাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ‘টরেন্টো স্টারে’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে জন ওটিস কলম্বিয়ান ড্রাগ বা স্কপোলামাইনকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ড্রাগ হিসেবে উল্লেখ করেন। নিষিদ্ধ ড্রাগগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ডেভিলস ব্রিদ’ (শয়তানের দম)। ওষুধ প্রযুক্তিবিদদের কাছে এটি ‘কলম্বিয়ান ড্রাগ’ হিসেবে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম স্কপোলামাইন। এছাড়া জঙ্গি তৎপরতায় ক্যাপ্টাগন, অ্যাম্ফিটামিন, ডেক্সপ্রো-অ্যাম্ফিটামিন, লেভ অ্যাম্ফিটামিন, মিথ অ্যাম্ফিটামিন ইত্যাদি ড্রাগ বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৮৭ সাল থেকেই অ্যাম্ফিটামিন নামের ড্রাগের উৎপাদন বেআইনি ঘোষণা করা হয়। এরপরও মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয় অ্যাম্ফিটামিনের প্রসার ঘটে চলেছে। সৌদি আরব, সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও তুরস্কের ল্যাবরেটরিগুলোয় এ ড্রাগ উৎপাদন করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আইএসের মাধ্যমে এসব নেশাজাত ড্রাগ এখন বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের হাতেও পৌঁছেছে। এসব ড্রাগের ভয়ংকর নেশাতেই একশ্রেণীর যুবক নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন