পারিবারিকভাবে ইসলামের সঠিক দীক্ষা দরকার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৫ জুলাই, ২০১৬, ০৫:৫১:০৯ বিকাল
মুসলিম অধ্যুষিত বা ইসলামী দেশগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অর্থাৎ জঙ্গীরা রক্তের হোলিখেলা খেলছেই। সর্বশেষ বাংলাদেশে গত শুক্রবার পাঁচ জঙ্গী গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি নামে স্প্যানিশ রেস্তরাঁয় অতিথিদের জিম্মি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের গুলি ও গলা কেটে নির্মম কায়দায় হত্যার মাধ্যমে জঙ্গীপনা কর্মকান্ডের যে তথ্য জানান দিয়েছে তা শুধু বাংলাদেশ নয়, জঙ্গীবিরোধী শক্তিশালী দেশগুলোকেও ভাবিয়ে তুলেছে। শোকের এ ঘটনা শক্তিতে পরিণত করার পথই বেছে নিতে হবে। ধর্ম রক্ষার জন্য ইসলাম জিহাদ অনুমোদন করে। কিন্তু সন্ত্রাস কোনভাবেই অনুমোদন করে না। শুধু অনুমোদন করে না তাই নয়, সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতরা দোজখের বাসিন্দা হবে নিশ্চিতভাবে। এ কথা ইসলাম ধর্মে বর্ণিত রয়েছে। অথচ ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকান্ডে জড়িতরা এখন বিশ্বব্যাপী ইসলামী জঙ্গী নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এ জঙ্গীরা বিভিন্ন জঙ্গী গ্রুপের নামে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে, যার মধ্যে প্রথম ছিল তালেবান। পরে আল কায়েদা এবং আরও পরে আইএস নামে জঙ্গীপনার নানা ধরন ও রূপ বিশ্বজুড়ে পরিলক্ষিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত ও ধনী দেশগুলোতে জঙ্গীদের হিংস্র ছোবল হানার ঘটনা ঘটেছে। গুলশান ট্র্যাজেডির পর যে ভয়াবহ মেসেজ এসেছে তা আর লুকোছাপার অপেক্ষা রাখে না। ধনীর দুলালরা কেন এমন সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে রীতিমতো সুইসাইডাল স্কোয়াডে যোগ দিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করছে না তা রীতিমতো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার। অভিভাবকরা সন্তানদের কর্মকান্ড নিজ নিজ তত্ত্বাবধানে রেখে মনিটরিং করতে হবে, যাতে তাদের সন্তানরা কোনভাবেই জঙ্গীপনা বা সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হতে না পারে। পারিবারিকভাবে এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যাতে করে সন্ত্রানরা ইসলামের সঠিক দীক্ষা পায়।
বিষয়: বিবিধ
৮৬২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পারিবারিক ভাবেই সবার উচিৎ নিজেদের সন্তানদের ইসলামের মৌলিক জ্ঞান দেয়া যেমনঃ
জীবন সংহার ইসলামে নিষিদ্ধ বরং জীবন রক্ষাই প্রত্যেকের কর্তব্য।
ইভটেজিং ইনশেধ বরং মেয়েদের সম্মান করা উচিৎ।
অন্যের দেবতাকে গালি দেয়া এবং অন্যের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবমাননা ইসলাম সমর্থন করেনা বরং এমনটা যারা করে আল্লাহর আদালতে স্বং রাসূল (সঃ) অপরাধীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ দিবেন।
পিতামার অধিকার, স্ত্রীর অধিকার, সন্তানের অধিকার এমন হাজারো মৌলিক বিষয়ে পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়া এখন সময়ের দাবী।
আসলে আমরা ঠেকে শিখি। জাতি এখন ধ্বংসের দারপ্রান্তে তাই এখন না শিখলে আর কখোনই শিখতে পারবনা।
ধন্যবাদ
এটাতে লেটার মার্কস না পেলে পরের ক্লাসে উঠতে দেওয়া হবে না - এরকম বাধ্যবাধকতা আনতে হবে । এবং এর থেকে লব্ধ শিক্ষা সমাজের সর্বক্ষেত্রেই চর্চা করা নিশ্চিত করতে হবে ।
আর যারা পাঠ্যপুস্তক হতে ইসলামী শিক্ষা বাদ দেবার পক্ষে আওয়াজ তুলেছিল এবং এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল তাদেরকে গ্রেফতার করে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে হবে এবং এদেরকে সবসময়ই নজরদারিতে রাখতে হবে । এদের দৈনন্দিন কাজ সম্পর্কে নিকটস্থ থানায় প্রতিদিন লিখিতভাবে জানিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের সাথে একমত।
আইএস এর অপারেশনের ধরনই আলাদা। আইএস প্রত্যেক সদস্যের suicide vests and belts থাকে। যা এদের ছিল না। জঙ্গী গুলো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পরে ক্রস ফায়ারে মারা পরছে। ওদের ধারনা, মানুষ মেরে জান্নাতে আছে।
পরিবারের। ওদের বাব মা দের জেলে
ঢুকাও। দেখি কত পার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন