সাইবার নজরদারিতে নতুন প্রকল্প

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৭ জুন, ২০১৬, ০৩:২৬:৪৫ দুপুর



তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এখন বেশিরভাগ সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফেসবুক, টুইটার, ব্লগসহ বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমে এসব অপরাধ ছড়ানো হচ্ছে। এছারাও এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাংক, বিনিয়োগ, পুঁজিবাজারসহ সব আর্থিকপ্রতিষ্ঠানে সাইবার আক্রমণ বাড়ছে। জঙ্গি-সন্ত্রাসী অপরাধীরা এখন নতুন কৌশলে প্রযুক্তির মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে। আর ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করাটা এখন আইনশৃংখলা বাহিনী ও গোয়েন্দাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা মোকাবিলায় নিরন্তর উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত আর্থিক খাত। নিরাপত্তা বাড়াতে, সম্পদ আর প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখতে ক্লাউড বেজড সাইবার সেবা, বিগ ডাটা এনালিটিক্স, অ্যাডভান্সড অথেনটিকেশন এবং বায়োমেট্রিক্সসহ নানা প্রোগাম নিয়ে কাজ করছে প্রযুক্তিবিদরা। বিশ্বের অনেক দেশেই টেলিযোগাযোগ অধিদফতর শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেই টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের ক্ষমতা টেলিযোগাযোগের যে কোন প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। সাইবার নিরাপত্তার বিবেচনায় আমাদের দেশের নবগঠিত টেলিযোগাযোগ অধিদফতর (ডট) শুরুতেই দেড় শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স’ নামে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের যে কোন ব্যক্তির অনলাইন কার্যক্রমসহ ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ তদারকির সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সব ধরনের ওয়েবসাইট থেকে যে কোন কনটেন্ট অপসারণের ক্ষমতাও পাবে তারা। ডটের এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের পুরো অর্থের যোগান দেয়ার কথা বলা হয়েছে সরকারী তহবিল থেকে।

বিষয়: বিবিধ

৯৯৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373344
২৮ জুন ২০১৬ রাত ১২:২৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো কথা শুনতে পছন্দ করেনা। এটাকেই ক্রাইম হিসেবে ধরে। আর এটাই তাদের একমাত্র চিন্তা। এর পিছনেই জনগনের পয়সা খরচ। এর মাধ্যমে কিছু পয়সা খরচ হওয়া ছাড়া আর দু একজন সাধারন মানুষকে শাস্তি দেওয়া ছাড়া আর কিছু আছে বলে মনে হয়না। জনগনের ভাত-কাপুড়ের চিন্তা করলে এতসব চিন্তা করা লাগত না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File