পরিবার হারানোর বেদনা অনেক কষ্টের
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৯ জুন, ২০১৬, ০৪:১৯:০৯ বিকাল
কর্তব্যপরায়ণতা, সাহসীকতা এবং জনসম্পৃক্ততা দিয়ে শুধু চট্টগ্রাম নয় বরং পুরো পুলিশ বাহিনীর কাছেই এক অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব বাবুল আক্তার। তাই তার মতো একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে হত্যা করায় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সাধারণ জনগণের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও। বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গোনা যে কয়জন অফিসার 'লিভিং লিজেন্ড' হিসেবে গন্য হন তাদের মধ্যে বাবুল আক্তার অন্যতম। তার জনসম্পৃক্ততা যেকোন রাজনীতিবিদকেও হার মানাবে, অপরাধ উৎঘাটনে তার কৌশল এবং দুঃসাহসিক ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ সব অপারেশনের গল্প শুনলে মনে হবে দুর্দান্ত এক ক্লাসিক থ্রিলার! যার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলে প্রায় সবারই মনে হবে 'ইস্ যদি পুলিশ হতে পারতাম'! যে এলাকাতে কাজ করতেন সেখানে তিনিই ছিলেন সবার আস্থার প্রতীক, এমন এক ব্যক্তি যার উপর নিজের নিরাপত্তার জন্য নির্ভর করা যায়। অত্যন্ত সদালাপী, সৎ ও সকলের আস্থাভাজন এই ব্যক্তির সহধর্মিণীকে কিছু দুর্বৃত্ত নির্মমভাবে খুন করেছে আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছে বাচ্চাটি। এই অফিসার তার বাচ্চার স্কুলে লিফট দেওয়ার জন্যও কখনো তার সরকারি গাড়ি দিতেন না, নিয়ম অনুযায়ী বাসায় রানার বরাদ্দ থাকলেও তাদের কখনোই পরিবারের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন না। নিজে চরম ঝুকিপূর্ণ পেশায় থাকার পরেও স্ত্রী-পুত্রের জন্য অনিয়ম হবে ভেবে নিজের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করতে দিতেন না, তার পেশাদারিত্ব ও মানসিকতা কতটা উচু মাপের এটা হয়তো এ সমাজের বেশিরভাগ মানুষ বুঝতেই পারবে না। কিন্তু ওই সকল কুলাঙ্গারদের জন্য সব কিছু শেষ হয়ে গেছে তার, তারা কি জানে পরিবার হারানোর বেদনার কতটা কষ্টের।
বিষয়: বিবিধ
১০১০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন