সুন্দরবনের জলদস্যুরা ফিরে এল স্বাভাবিক জীবনে

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০২ জুন, ২০১৬, ০৪:৫২:৪০ বিকাল





সুন্দরবনকেন্দ্রিক জলদস্যুদল ‘মাস্টার বাহিনী’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। জমা দিয়েছে ৫২টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রায় পাঁচ হাজার গুলি। দলটির প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টারসহ ১০ আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। দস্যুরা সমাজের ক্ষতিকর মানুষ হিসেবে কুখ্যাত হয়েছে। এই উপলব্ধি থেকে তারা আজ আত্মসমর্পণ করেছে। বনে দস্যুবৃত্তি যে ভুল ছিল, তা মাস্টার বাহিনী বুঝতে পেরেছে, তাই তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অত্মসমর্পণ করেছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের কাজ করতে পারে সে জন্য কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বাড়ানো সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। সুন্দরবনকে সুরক্ষির করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই করছে সরকার। দস্যুরা যদি ভয়ংকর পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় তাহলে সরকার তাদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেবে। আর তারা যদি বনে দস্যুবৃত্তি করতে চায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কঠোর হাতে দমন করবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। আত্মসমর্পণ করা দস্যুদলটির সদস্যরা হলো ‘বাহিনী’ প্রধান বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের মো. মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার (৪৬) ও মো. সুলতান খান (৫৮), রামপাল উপজেলার বড় কাটাখালী গ্রামের মো. সোহাগ আকন (৩৭), আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. ফজলু শেখ (৩৫), শ্রীফলতলা গ্রামের মো. সোলাইমান শেখ (২৮), খুলনার দাকোপ উপজেলার কুনাকাটা গ্রামের মো. শাহিন শেখ (২৮), একই জেলার কয়রা উপজেলার মো. হারুন (২৪), একই উপজেলার মহেশ্বরী গ্রামের মো. আসাদুল ইসলাম কোকিল (২৭), সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মুরাগাছা গ্রামের মো. সুমন সরকার (৩৪) ও আশাশুনি উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মো. আরিফ সরদার (২২)।দস্যুদের জমা দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১৮টি একনলা বন্দুক, আটটি দোনলা বন্দুক, ছয়টি পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল, একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, তিনটি ওয়ান শুটারগান, পাঁচটি রাইফেল, দুটি সিঙ্গেল রাইফেল, পাঁচটি শটগান, দুটি এয়ারগান ও দুটি শাটারগান।

বিষয়: বিবিধ

৯৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File