নতুন মাত্রায় বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৯ মে, ২০১৬, ০৪:০৬:৩৯ বিকাল
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উষ্ণতম ছিল। এর পর বর্ধিত অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে এই সমর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলা একটি বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপান। আলাদা করে বললে, তারা সবসময়েই আমাদের সংকটময় খাতগুলোতে, যেমন দারিদ্র্য দূরীকরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জনশক্তি উন্নয়ন উদার সহায়তা দিয়েছে। জাপান হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর অন্যতম এবং বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। গতকাল শনিবার সকালে জাপানের নাগোয়ায় শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় শেখ হাসিনার। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৬শ' কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রদানের অংশ হিসেবে দেড়শ' কোটি ডলার দিচ্ছেন এ বছরই। ২০১৯ সালের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করে দেয়ার বিষয়েও ত্বড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণেও সম্মত হয়েছে। এ ছাড়াও পদ্মার পাড়ের চর জানাযাত-এ একটি অত্যাধুনিক বিমানবন্দর তৈরীর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়েও জাপান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকাঙ্খার সঙ্গে জাপান অতীতের মতই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও এসময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১৪ বর্গমিটার এলাকায় জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশের দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন