খুলনা-মংলা রেল প্রকল্প একটি নতুন দিগন্ত
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৮ মে, ২০১৬, ০৪:০৮:৩১ বিকাল
পাকিস্তান আমলে অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজটি এখন পুরোদমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন (জিওবি) ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ রেললাইনটি চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে উন্নত ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। খুলনা থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত এ লাইনটি নির্মাণ করা হবে। শুধু রেললাইনের সংযোগ না থাকায় বড় বড় কন্টেনার পরিবহনে প্রতিনিয়ত সমস্যার সৃষ্টি হত এ বন্দরে। এ কারণে বন্দরটিতে বহির্বিশ্বের কোন বড় মালবাহী জাহাজ ভেড়াতে আগ্রহী হত না। এর ফলে আর্থিকভাবে তেমন লাভবান হতে পারছিল না বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই নতুন প্রকল্পের কারনে পার্শ্ববর্তী তিন দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ঘটবে। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের সংযোগ স্থাপন করতে এ রেললাইন প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে। এই প্রকল্পটি দেশের উন্নয়নে একটি সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৩০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এত টাকা! ৭১ হাজার কোটি টাকা কেন, কিভাবে বিদেশে পাচার হয়! বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.ফরাস উদ্দিন একজন মেধাবি সৎ দেশপ্রেমিক গুনীজন।শুক্রবার বলেছেন, ২০১৩সালে দেশ থেকে প্রায় ৭১হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে!! যা দিয়ে তিনটি পদ্মাসেতু বানানো যেতো।
একটি গরিব তলাবিহীন ঝুড়ি, বন্যা,জলোচ্ছাস প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবল থেকে উঠে আসা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, বাংলাদেশ যেখানে প্রবাসীদের রেমিটেন্স আর কৃষকের পরিশ্রম, গার্মেন্ট কর্মীদের ঘামে অর্থনীতিকে নিরাপদ রেখেছে, সেখানে এত টাকা কারা কেন পাচার করেছে? দেশে কেন বিনিয়োগ নাই? কর্মসংস্থান নাই, শিল্পকারখানা বাড়ছে না কেন? কেন ব্যাংকিংখাতসহ অর্থনৈতিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে না? কেনইবা বন্ধ হচ্ছে না মৃত শেয়ারবাজারে কোটি মানুষের কান্না? কি হচ্ছে দেশে?
সাবেক গভর্নর বলেছেন,দেশের অনেকের সঙ্গে বিদেশের দুষ্টচক্র টাকা পাচারে জড়িত!কেন?তারা আইনি বৈধভাবে পাচার করেছেন? বিদেশে বিনিয়োগ হয়েছে? নাকি নিরাপত্তাহীনতায়? এরা কারা? শ্বেতপত্র প্রকাশ হয় না কেন? জনগনের কি এই সত্য জানার অধিকার নেই? মালয়েশিয়ায় অনেকের সেকেন্ড হোম কেন? কেন কানাডার একটি জায়গার নাম আজ বেগমগঞ্জ? কাদের বেগমরা পাড়ি দিয়েছেন? কাদের সাহেবরা সময়ে চলে যাবেন? কারা আজ সিঙ্গাপুর, কানাডা, লন্ডন, ইউএসেতেসম্পদ গড়েছেন?এর কি তদন্ত সম্ভব নয়? প্রশ্নবিদ্ধ সংসদেও এনিয়ে আলোচনা হতে পারে না? ডিজেবল বিরোধীদল জানতে চাইতে পারে না?
একসময় ব্যাংকখাতে রাজনৈতিক নিয়োগ হতো না, যখন শুরু হলো তাও সীমাবদ্ধ, যোগ্যদের দিয়ে। কিন্তু পরে রাজপথের দলী্য় কর্মীদের হাতে এল পরিচালনা পর্ষদ! আর যায় কোথায়! সোনালী, বেসিকসহ ব্যাংকখাতে লুটপাট, শেয়ারবাজার ডাকাতি! তবু ডাকাতরা নিরাপদ। সংসদে অর্থমন্ত্র অসহায়ের মতোন কথা বলেন! রাজদূর্নীতিরযুগে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদ, রাজনীতিবিদরা ব্যাবসায়ী হচ্ছেন! হরিলুট চলছে। একদল রাজনীতিজীবি ভুলে গেছেন মানুষকে দেয়া অঙ্গীকার।একদল আমলা মনেই রাখেননি জনগনের টাকায় পড়েছেন, হলের সিটভাড়া, বেতন, ডাইনিংখাবার কত ছিলো? মনে রাখেন নি তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। একদল ইঞ্জিনিয়ার, একদল ডাক্তার টাকার নেশায় অমানবিক!মনেই করেননা, গরিবদেশের জনগণের টাকায় পড়েছেন! সিভিল সোসাইটি, লেখক, সাংবাদিকদের অনেকে নিজের মেরুদন্ডটা খুজে পান না!
কি অদ্ভূত! নেতা, মন্ত্রী সাঙ্গপাঙ্গ বিশাল অংশ দেশজুড়ে আখেরি আখের গোছাতে মরিয়া!সবাই জানছে,সবাই বুঝছে,কেই কথা বলছেনা!কথাতো কাউকে না কাউকে বলতেই হবে। কারা কেন কিভাবে টাকা পাচার করেছেন তা জানতে হবে। এই দেশ রক্তে কেনা, এই দেশ আমার, এই দেশ আপনার, আমাদের সবার! আমাদেরকে ভাবতেই হবে। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংস্কার কমিশন করা জরুরী। দেশে এখনো যোগ্য দক্ষ সৎ সাহসী দেশপেমিক মানুষের আকাল পরেনি। আজ সবাইকে জানতে হবে, ভাবতে হবে। সরকারকে ভূমিকা নিতেই হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন