রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে বৈধ পথে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৮ মে, ২০১৬, ০৩:৫৭:৪৬ দুপুর
মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিকাশ যৌথভাবে প্রবাসী আয় স্থানান্তরের নতুন সেবা চালু করেছে। এই সেবার আওতায় বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোনো গ্রাহক মাসে ২০টি লেনদেনে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যাবে। রেমিট্যান্স সেবার এই উদ্ভাবনী সেবা বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চালু হওয়ায় যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই পদ্ধতি দেশের রেমিট্যান্স সেবায় ব্যাপক পরিবর্তন এনে দেবে। এই পদ্ধতিকে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন এবং গ্রাহকবান্ধব করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই সেবার মাধ্যমে যে পরিমাণ সাড়া মিলেছে তাতে আগামীতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়বে। বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশ। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা। ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে রেমিট্যান্স প্রেরণে অনেকে হুন্ডিকে বেছে নেয়। তাতে বৈদেশিক আয়ের একটি বড় অংশই হিসাবের বাইরে থেকে যায়। আমরা শুধু বৈধ পথের রেমিট্যান্স স্থানান্তরের হিসাব পাওয়া যায়। কিন্তু অবৈধ পথে কী পরিমাণ আসছে এর কোনো হিসাব নেই। কেউ কেউ বলে আরো ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স অবৈধ পথে আসে।’ বিশ্বের ১৩৫টি দেশে বাঙালিরা থাকে এবং তারা নিয়মিত টাকা পাঠায়। কিন্তু দেশের সব ব্যাংক ও এনজিও মিলে ১৪ হাজার স্থান থেকে এসব টাকা গ্রহণ করা যেত। এখন বিকাশের এক লাখ স্থান থেকে অর্থ গ্রহণ করা যাবে । বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা দেশে গ্রহণ করে প্রবাসীদের স্ত্রী কিংবা মা-বাবা, ভাই-বোন। তাদের সংখ্যা ৬০ লাখের মতো। যে পন্থায় টাকা পাঠাচ্ছে সেভাবেই পাঠাতে পারবে এখনো। এখানে বিকাশ ওয়ালেটে টাকাটা পুল করার পদ্ধতি যোগ করা হয়েছে। এটি একটি নিরাপদ, সহজ এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম যেখানে প্রেরকের বাড়তি কোনো খরচ নেই। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের যে খরচ, সেই খরচেই তারা টাকা পাঠাতে পারবে। শুধু দেশে ক্যাশ আউটে ১.৮৫ শতাংশ খরচ হবে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে রেখে কোনো বিল, পাওনা পরিশোধ, কেনাকাটা করলে কোনো ক্যাশ আউট চার্জ লাগবে না। দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যাবে অনেকাংশ।
বিষয়: বিবিধ
৮৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন