বিনিয়োগ করতে বিদেশী উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশমুখী
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৩ মে, ২০১৬, ০৭:২৮:৪৪ সন্ধ্যা
গার্মেন্টস খাতে বিনিয়োগ করতে বিদেশী উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশমুখী। সবার লক্ষ্য তৈরি পোশাক খাত। দেশের গর্ব পোশাক খাতে বিনিয়োগ করতে চান তাঁরা। চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং কানাডার উদ্যোক্তারা এখন ছুটে আসছেন বাংলাদেশে। বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে ‘গ্রিন গার্মেন্টস’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন বিদেশী উদ্যোক্তারা। শ্রমিকদের জন্য শতভাগ নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে দেশে ‘গ্রিন গার্মেন্টস’ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের কার্যক্রম জোরেশোরে শুরু হয়েছে। পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে পোশাক কারখানা। রূপকল্প-২১ অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পোশাক খাতের প্রায় সব কারখানাকে গ্রিন গার্মেন্টসে রূপান্তর করার উদ্যোগ রয়েছে। বিশ্ব রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পরও শুধু নিরাপদ কর্মপরিবেশ ইস্যুতে পোশাক শিল্প খাত নেতিবাচক ভাবমূর্তির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়নি। শুধু নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরিই নয়, উন্নতমানের পণ্য তৈরিতেও গ্রিন গার্মেন্টসের প্রয়োজন রয়েছে। এসব কারখানা পরিবেশ রক্ষায় নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। কারখানায় এমনভাবে সৌরবিদ্যুত ব্যবহার করা হয়, যাতে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কম বিদ্যুত ব্যবহার করতে হয়। সূর্যের আলো ব্যবহারের মাধ্যমে দিনে কারখানার বেশিরভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। বিশ্বমানের বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) থাকতে হবে কারখানাটিতে। এছাড়া ইটিপিতে পরিশোধিত পানি পুনরায় ব্যবহার করা যায়। শ্রমিকদের চলাচলের জন্য থাকতে হবে প্রশস্ত করিডর। একসঙ্গে ৮শ’ থেকে এক হাজার শ্রমিকের খাওয়ার জন্যও জায়গা থাকতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার মতো ব্যবস্থাও থাকে এসব কারখানায়। অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়াতে গার্মেন্টসের পাশে খালি জায়গায় বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণ, অগ্নি নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হয় গ্রিন গার্মেন্টসে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দেড় শ’ থেকে ২শ’ কারখানা গ্রিন গার্মেন্টসে রূপান্তর করা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৬৯০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন