বাংলাদেশের সাগর সীমানায় বড় ধরনের গ্যাসের মজুদের সন্ধান
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ মে, ২০১৬, ০৩:১২:৪৪ দুপুর
বাংলাদেশের সাগর সীমানায় বড় ধরনের গ্যাসের মজুদের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর স্থলভাগে যেসব পকেট গ্যাস পাওয়া যাবে তা দিয়ে নিশ্চিন্তে আরো বহু বছর চালানো যাবে। অতএব দুশ্চিন্তায় পড়ার কিছু নেই।দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৬টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে, যার মধ্যে ২০টি থেকে তোলা হচ্ছে এ অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রতিবছর ৮০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস খরচ হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, সম্প্রতি সমুদ্র ও স্থলভাগে বড় দুটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মিলেছে। এর একটির অবস্থান অগভীর সমুদ্রের ১১ নম্বর ব্লকে, অন্যটি ভোলার শাহবাজপুরে। জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার জন্য গ্যাসের বিকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে জ্বালানি বিভাগ। কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হচ্ছে প্রতিদিন এ টার্মিনাল থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। দেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস নির্ভর হওয়ায় গ্যাসের চাহিদা বাড়ার পাশপাশি দেশে যে ব্যাপক শিল্পায়ন ও উন্নয়ন হচ্ছে—সে বিষয়টিকে মাথায় রেখেছে সরকার । জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় গড়ে ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকে যে সাত টিসিএফ গ্যাস রয়েছে তা বর্তমানে উত্তোলনযোগ্য মজুদের অর্ধেকের বেশি। এ ক্ষেত্র দুটিতে ৬৬৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আছে, তবে এ মজুদ বেড়ে এক ট্রিলিয়ন ঘনফুটেরও বেশি হতে পারে। বর্তমানে সেখানে চারটি কূপ রয়েছে, এ ছাড়া কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রেও মজুদের পরিমাণ বেড়েছে এগুলো থেকে আঞ্চলিকভাবে শিল্প-কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমান দেশে গ্যাসের চাহিদা মিটিয়ে আগামী বহু বছরের জন্যও গ্যাস মজুদ রাখা সম্ভব।
বিষয়: বিবিধ
৭৮৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নুতন সংকট আরো নতুন মাত্রায় রূপ নিবে। পুকুরে রুই মাছ বেড়ে গেলে রুইয়ের কপাল খুলেনা খুলে পুকুরের পাড়ের বাসিন্দাদের।
মন্তব্য করতে লগইন করুন