মোবাইল ব্যাংকিং সেবার দ্রুত প্রসার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:২৭:১২ দুপুর
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং কেবল টাকা আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং অনেক নতুন নতুন সেবা যুক্ত হয়েছে এতে। প্রতিমাসেই বাড়ছে বিভিন্ন সেবা বিল দেয়ার পরিমাণ। বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০৮ কোটি টাকা। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫৫২ কোটি টাকা। মূলত কম সময়ে টাকা পাঠানোর সুযোগের ফলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার দ্রুত প্রসার হচ্ছে। লেনদেন বাড়লেও গত কয়েক মাস ধরে চালু (এ্যাকটিভ) এ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমছিল। সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মার্চে সচল এ্যাকাউন্ট বেড়ে এক কোটি ৪২ লাখে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। অনেক দেশে মোবাইল ফোন অপারেটরের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ সেবা দিচ্ছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করলেও এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। বর্তমানে ১৮টি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থাকলেও মোট লেনদেনের উল্লেখযোগ্য অংশ হয় বিকাশের মাধ্যমে। ব্যাংকগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সহায়তায় এজেন্টের মাধ্যমে এ সেবা দেয়। সেবার বিপরীতে পাওয়া কমিশন ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর ও এজেন্ট এই তিন স্তরে ভাগ হওয়ার ফলে এখানকার চার্জ তুলনামূলক বেশি। তবুও তাৎক্ষণিকভাবে বা অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বিষয়: বিবিধ
৯১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন