সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত গ্রামীণ জীবন
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:৩২:৩৯ দুপুর
একটা সময় সন্ধ্যার পর পরই যেখানে নেমে আসত ভুতুড়ে পরিবেশ- চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, এখন অন্যরকম পরিবেশ। সেখানে এখন ‘আলোয় আলোকিত’। পদ্মা নদীবেষ্টিত ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরভদ্রাসন উপজেলার হরিরামপুর, ঝাউকান্দা, গাজীরটেক ইউনিয়নের গ্রাম। সৌরবিদ্যুতের আলোয় এখন আলোকিত পদ্মাপাড়ের এসব গ্রাম। সৌরবিদ্যুতের কারণে এখানকার মানুষের জীবনচিত্র পাল্টে গেছে। এদিকে এখন আর জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভর করতে হয় না। নেই কোনো লোডশেডিংয়ের বিভ্রান্তি। সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ কার্যক্রমে ঝিনাইদহের কৃষকদের মধ্যে জেগেছে ব্যাপক সাড়া। নিরবিচ্ছিন্ন সেচ সুবিধার কারণে জমিতে বাম্পার ফলন ফলাচ্ছে কৃষকরা। সৌরবিদ্যুতের আলোয় এখন আলোকিত এসব গ্রাম। সৌরবিদ্যুতের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। এখন গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ নানা কাজে ব্যস্ত। গ্রামের মহিলারা এখন রাতের বেলা ‘আয়মূলক কাজ’ করে সংসারের সচ্ছলতা আনতে ভূমিকা রাখছেন। ফলে দ্রুতই বদলে যাচ্ছে দুর্গম পদ্মাচরের দরিদ্র, অসহায় মানুষের জীবনচিত্র। নদীবেষ্টিত থাকায় এসব ইউনিয়ন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নৌকা, ট্রলারই একমাত্র মাধ্যম। ফলে মানুষ ছিল বেশ পিছিয়ে। স্কুল-কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে ছিল বঞ্চিত। এ ছাড়া বিদ্যুৎ পাওয়ার চিন্তা ছিল স্বপ্ন। সে স্বপ্ন এখন বাস্তব হিসাবে ধরা দিয়েছে। সৌরবিদ্যুতের আলোয় এখন আলোকিত পদ্মার দুর্গম চরের গ্রামগুলো। সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কমিয়েছে। ধান উৎপাদনে আগে স্যালো ও বিদ্যুৎচালিত মোটরে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হতো। এখন সাড়ে ৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষক উপকৃত হবে তেমনি দেশের জনগণও উপকৃত হবে।
বিষয়: বিবিধ
৮১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন