ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের আওতায় রামু এবং কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:২২:৫০ দুপুর

ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এই রেলপথ সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও কোরিয়া হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ হবে। পর্যটনশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি বিস্তৃত হবে ব্যবসা বাণিজ্যও। ১৮৯০ সালে মিয়ানমার রেলওয়ে চট্টগ্রাম থেকে রামু এবং কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য সার্ভে করে। চট্টগ্রামের সঙ্গে আকিয়াবের (মিয়ানমার) রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে দোহাজারী হতে রামু হয়ে আকিয়াব পর্যন্ত ১৯১৭ সাল থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে পুনরায় সার্ভে করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত মিটার গেজ রেল লাইন স্থাপন করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে কক্সবাজার হতে রামু পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এশিয়ান ল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট নামের প্রকল্পের আওতায় ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের তিনটি ইউরো-এশিয়া সংযোগ বোর্ডের মধ্যে সাউদার্ন করিডর অন্যতম রুট। সেই থেকেই এই রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের চিন্তা ভাবনা চলছিল। বর্তমান সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সমস্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। স্বপ্নের দিন শেষ এখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেন যাবে কক্সবাজার। থাকছে ৯টি রেল স্টেশন। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, রামু, ঈদগাহ হয়ে কক্সবাজার এরপর উখিয়া। সবগুলো রেল স্টেশনের ডিজাইন করা হয়েছে সেখানকার প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রের উপর ভিত্তি করে। এর মধ্যে কক্সবাজার রেল স্টেশনের ডিজাইন করা হয়েছে সমুদ্রের ঝিনুকের আদলে। ২০২২ সালের মধ্যে এই পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন শুরু হবে।

বিষয়: বিবিধ

৯২১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366288
১৯ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : উন্নয়নের চেয়েও জান মালের নিরাপত্তা বেশি জরুরী

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File