অপরূপ রঙে সেজেছে প্রকৃতি
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:৩৯:২২ দুপুর
বসন্ত শেষে ও গ্রীষ্মে রোদের দাহের মধ্যেও আনন্দ দেয় কৃষ্ণচূড়া। চৈত্র শেষের দাবদাহে শহর-গ্রামে প্রকৃতি সেজেছে আগুন রঙের কৃষ্ণচূড়ায়। ডেকে এনেছে বৈশাখ। বসন্ত শেষে ও গ্রীষ্মের শুরুতে ফোটা ফুল কৃষ্ণচূড়া বাঙালী সংস্কৃতি এবং কাব্যচর্চায় এতটাই জনপ্রিয় যে বর্ষবরণের বৈশাখকেই রাঙিয়ে দেয়। প্রকৃতি কৃষ্ণচূড়া ফুটিয়ে দেশজুড়ে নববর্ষের লাল আভায় ভরিয়ে দিয়েছে। মনে হবে গোটা দেশই কৃষ্ণচূড়ার শহর ও গ্রাম। এই সময়টায় দেশের যে কোন শহর ও গ্রামে গেলে কৃষ্ণচূড়াকে চোখে পড়বেই। আকাশপানে বেড়ে ওঠা কৃষ্ণচূড়ার শাখা-প্রশাখা দূর থেকেই জানান দেয় আগুনের ফুলকি। চরা চৈত্রে ঘামে দরদর শরীর নিয়েই পথিক হেঁটে যায় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচ দিয়ে। এই ছায়ায় স্বস্তি পায় কিছুটা। চিরহরিৎ বৃক্ষ লাল কৃষ্ণচূড়ার ফোটার আগে কলি দেখতে অনেকটা মোহরের মতো দেখায়। এর আরেক নাম গুলমোহর। আমাদের কাব্যে সাহিত্যে জীবনের চলার পথে ভাব বিনিময়ে প্রণয়ে কৃষ্ণচূড়া অনেক বড় আসন করে নিয়েছে। বসন্ত শেষে চৈত্রের দাহজ্বালা রোদের ভরদুপুরে প্রণয় মধুর জীবনে একজোড়া কপোতকপোতি কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচের শীতল ছায়ায় কী অপার মধুময়তার ভুবন তৈরি করে। কৃষ্ণচূড়ার আমরা লাল রঙেই দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু কৃষ্ণচূড়া তিনটি রঙের হয়। লাল হলুদ ও সাদা। হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া তবু চোখে পড়ে। সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে কালেভদ্রে। এই তিন রঙের কৃষ্ণচূড়ার গাছ উঁচু। অনেকটা জায়গা জুড়ে শাখা-প্রশাখার বিস্তার ঘটায়। তিন রঙেরই ফুল ফোটে প্রায় একই সময়ে। ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে দৃষ্টি পড়লে দেখা মেলে হলদে কৃষ্ণচূড়ার। মূল ভবনের সামনে ও পেছনে হলুদ কৃষ্ণচূড়ার দু’টি বৃক্ষ আছে। হলদে প্রজাতির কৃষ্ণচূড়ার গাছ অনেক জায়গাতেই আছে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়া অতি দুষ্পাপ্য। অনেকেই রাধাচূড়াকে ভুল করে কৃষ্ণচূড়া বলে। অবশেষে মনে পড়ছে সেই কালজয়ী গানটি “কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে তুমি আসবে বলে...”
বিষয়: বিবিধ
৮২৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জেনে রাখ এগুলো সব আল্লাহর কারুকাজ |
প্রকৃতি কিন্তু সাজেনি। তাকে সাজানো হয়েছে |
মন্তব্য করতে লগইন করুন