বিনোদনের নয়া সংযোজন কুয়াকাটার ইলিশপার্ক
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:৫৮:৫৮ দুপুর
কুয়াকাটায় এবার জমে উঠবে নতুন ধারার এক বিনোদন মাধ্যম ইলিশ পার্ক। পহেলা বৈশাখ থেকে বাংলা নববর্ষের পুরো মাসজুড়ে বিশেষ আয়োজন থাকছে কুয়াকাটার এই ইলিশ পার্কে। প্রকৃতির অন্যতম অপার সৌন্দর্য কুয়াকাটার পর্যটন এলাকায় বিনোদনের ক্ষেত্রে নয়া সংযোজন হচ্ছে এই ইলিশ পার্ক। ইলিশ পার্ক কর্তৃপক্ষ বাংলা নববর্ষকে ঘিরে মাসব্যাপী আয়োজন হাতে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশেষ বিশেষ মজাদার খাবার। পর্যটক-দর্শনার্থীর কাছে ইতোমধ্যে পার্কটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর বৈশাখজুড়ে বিশেষ আয়োজনে আরও একদফা আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে অভিনব এই পার্ক। বাইরে থেকে হঠাৎ পার্কটিতে প্রবেশ করলেই পুবকোণে বিশালকায় একটি ইলিশ যেন কাত করে রাখা হয়েছে। আসলে এটি ইলিশের প্রতিকৃতি। কাঠের স্ট্রাকচারের চারদিকে স্টিল দিয়ে খচিত ইলিশের আদলে গড়া একটি রেস্তরাঁ। একসঙ্গে ৫০ জন ইলিশের পেটের মধ্যে ঢুকে বসে খেতে পারবেন। প্রায় ৭২ ফুট দীর্ঘ এই ইলিশের পেটের প্রস্থ ১৬ ফুট। কুয়াকাটা শূন্য পয়েন্ট থেকে একটু পেছনে মাত্র ১০ টাকা ভ্যান ভাড়ায় পৌঁছানো যায় পার্কটিতে। ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি এর যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ৬৬ শতক জমির ওপরে পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। পার্কের মধ্যে রয়েছে বিশাল আকৃতির বাঘ, ব্যাঙ, হরিণ, সিংহ, হাতি, ক্যাঙ্গারু, সারস ও বানরের প্রতিকৃতি। রয়েছে জমিয়ে আড্ডা দেয়ার পাঁচটি গোলঘর, যেখানে ইচ্ছা করলে হালকা নাস্তাসহ ভারি খাবার খেতে পারেন। পার্কটিতে রয়েছে কুয়াকাটার সূর্যোদয়-সুর্যাস্তসহ রাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কর্মজীবনের স্থিরচিত্র। স্থিরচিত্রের সম্ভারে রয়েছে জেলে জীবনের মাছ ধরার দৃশ্য। ফটোগ্যালারি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। চারদিকে বাউন্ডারি ঘেরা এ পার্কটির অভ্যন্তরে রয়েছে আঁকাবাঁকা সরু লেক। লেকের স্বচ্ছ পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বিচরণ দেখা মেলে। প্রতিদিন এ পার্কটিতে একটু বিনোদনের জন্য শত শত পর্যটক-দর্শনার্থী আসছেন। ক্রমশ বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। পর্যটক-দর্শনার্থীর বিশেষ আকর্ষণের জন্য এ বাংলা নববর্ষে বিশেষ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে এবার জমবে মজা ইলিশ পার্কে, এ বৈশাখে।
বিষয়: বিবিধ
১০১৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন