একসাথে সাগর ও পাহাড় দেখার স্বপ্ন সফল হচ্ছে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ৩০ মার্চ, ২০১৬, ০৩:৫০:২৪ দুপুর
পথে যেতে যেতে একসাথে সাগর ও পাহাড় দেখার অনেক দিনের স্বপ্ন অবশেষে সফল হতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দিগন্ত বিস্তৃত সুনীল সমুদ্রের সফেন ঊর্মিমালার ছন্দে শিহরিত হিরন্ময় পাহাড়, সবুজ বন বিথীকায় অনন্য সুষমা মন্ডিত কক্সবাজার শহর থেকে সৈকতের তীর ঘেঁষে সুদূর টেকনাফ পর্যন্ত যাত্রায় প্রথম দেখা মিলবে স্বপ্নের ‘খোয়াব’ শহরের। তারপর দৃষ্টি চলে যাবে সুউচ্চ হিমছড়ি পাহাড় বেয়ে হিম শীতল পানির অবিরাম ঝর্ণা ধারায়। পৃথিবীর বারান্দা খ্যাত এবং কাদামুক্ত মসৃণ সমতল বালিয়াড়িতে অসংখ্য লাল কাঁকড়া যেন লাল কার্পেট বিছিয়ে আপনাকে স্বাগত জানাবে। এই দৃশ্য দেখতে দেখতেই পেয়ে যাবেন পাটুয়ারটেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত কিংবদন্তী ‘কানা রাজার গুহা’। পরীর দেশ দেখবেন ? কিংবদন্তী রয়েছে যে, এক সময় টেকনাফের মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপে পরীরা বাস করতো বলে প্রথমে এর নামকরণ করা হয় পরীর দ্বীপ। পরবর্তীতে এর নাম হয় শাহপরীর দ্বীপ। এসব দেখতে দেখতে নিজকে হারিয়ে ফেলবেন অন্য রকম এক স্বপ্নময় ভূবনে। কক্সবাজারের কলাতলি থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের তীর দিয়ে মেরিণ ড্রাইভ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে। সেনাবাহিনীর ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনষ্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় সড়কটি তৈরির কাজ হচ্ছে। উপরন্তু প্রচন্ড ঢেউয়ের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করেই সড়কটি তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে । কাজের সুবিধার্থে মেরিণ ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের কাজটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ২০০৮ সালের জুনে সড়কটির প্রথম পর্যায়ের কাজ সমাপ্ত হয়। বর্তমান সরকারের একান্ত উদ্যোগে অর্থ ছাড়সহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় পাওয়ায় ২০১৫ সালের অক্টেবরের সড়কটির দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ ইনানী থেকে শীলখালী পর্যন্ত ৪৮ কিমি কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি তৃতীয় পর্যায়ের কাজও সমাপ্তির পথে যাচ্ছে। মেরিণ ড্রাইভ সড়কের শোভা বর্ধনের লক্ষে সড়কের পাশে ৩ লক্ষ ঝাউ গাছ এবং কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫০হাজার ফুলের চারা লাগানোর কাজ হচ্ছে। সব মিলিয়ে সড়কটি চালু হলে পর্যটন শিল্পে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
বিষয়: বিবিধ
৯৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন