বিশ্বাসের ভিত যেন না ভাঙে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:০৯:২২ দুপুর
পৌরসভা নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্য বেজে উঠেছে। ভোটের বাদ্য বাজলে এমনিতেই আমাদের দেশে মানুষের মনে এক ধরনের খুশির আমেজ বয়ে যায়। দেশের মানুষ নির্বাচনটাকে উৎসবের মতো গণ্য করে। তারমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকারের একেবারে তৃণমূল ধাপ। এই নির্বাচনে স্বভাবতই সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ হয় স্বতঃস্ফূর্ত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা হলেন জনগণের একেবারেই নিকটজন, কাছের মানুষ। নির্বাচিত প্রতিনিধি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে যতোটা নিবিড়ভাবে জড়িত, দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে এদের সঙ্গে মানুষের যতোটা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ, অন্য জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে সাধারণত তেমন নয়। সেজন্যই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বাদ্য বেজে ওঠায় সারাদেশেই উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সরকারের তৃণমূলের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে যেমন ব্যাপক উৎসবের -উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে, তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে আগ্রহ-কৌতূহল। যারা ভোটার তাদের মধ্যে যেমন চাঞ্চল্য আছে, তেমনি যারা ভোটার নয়, তাদের মধ্যেও উৎসাহের কমতি নেই। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছে সবাই। তবে ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হবে কি-না, সবাই নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে কি-না সে প্রশ্নও অনেকের মনেই আছে। নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কতোটা বিতর্কমুক্ত রাখতে পারে, সেটা দেখার অপেক্ষা সবারই। নির্বাচনে সব পক্ষকে সমানভাবে খুশি করা কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা ঠিক যে, আমাদের দেশের রাজনীতি এখন এতোটাই দলান্ধ এবং সংঘাত ও বিদ্বেষপূর্ণ যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করা সত্যি কঠিন। তারপরও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা যেন ব্যাপক সাধারণ মানুষের কাছে ‘নতজানু’ বা ‘দুর্বল’ মনে না হয়, সেদিকে সতর্ক নজর রাখা দরকার। আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে, ‘মানুষের মুখেই জয়, মানুষের মুখেই ক্ষয়’।
বিষয়: বিবিধ
১০১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।
দেখা যাক, শেষ ফলাফল...
মন্তব্য করতে লগইন করুন