দিবা স্বপ্ন নয় স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৩:৩৮:১৬ দুপুর
বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থাপনা দেশবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছর শেষে সরকারের সাফল্য নিয়ে আলোচনার সময় এটা সব মহলই স্বীকার করেছে যে, স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফলতার সঙ্গে সময়মতো এর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বপ্ন বাস্তবেই সত্যে পরিণত হতে যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে এটা এখন বলতে পারা যাচ্ছে যে, ২০১৮ সালের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ৬.১৫ কিমি সেতুটি চালু হয়ে যাবে। সময়মতো যদি পদ্মা সেতু চালু করা যায়, তবে তা হবে স্থাপনা নির্মাণের ইতিহাসে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এক সাফল্য এবং আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা সেতুতে টাকা বন্ধ করতে হুমকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই হুমকি কাজে লাগছে না। পদ্মা সেতু হয়ে যাচ্ছে দেশাত্মবোধের স্পর্শকাতর যে একটি স্থান রয়েছে, তাতে আঘাত ক্ষমতাসীনরা সহ্য করতে পারছে না। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তারা যেন নিজস্ব অবস্থানে আরো দৃঢ় হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই দৃঢ়তা কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, তা নিয়ে কেবলই ভাবছিলাম। পদ্মা সেতু নিয়ে যখন ভাবি, তখন আরো চারটি প্রকল্প ভাবনায় চলে আসে। চোখের সামনে ভাসে, মহাশূন্যে স্যাটেলাইট স্থাপন হয়ে গেছে এবং আমরা তা ব্যবহার করছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেয়ে গ্রামবাংলা আলোকিত হয়ে উঠছে। রাজধানীর আর সেই সঙ্গে গ্রাম থেকে রাজধানীতে এসে মানুষ মেট্রো রেল চড়ছে। জ্যামে পড়ছে না। কর্ণফুলী নদীতে ট্যানেলের স্বপ্ন সত্যি হয়ে উঠছে এবং মানুষ কেবল ওটা দেখতেই বন্দর নগরী চট্টগ্রাম যাচ্ছে। জাতীয় কবির স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আমরা; আকাশ থেকে পাতাল আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসছে। বস্তুতপক্ষে এ সব নিয়ে যখন ভাবি, তখন ‘থ্রেট করা হয়েছে’ কথাটাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় না নিয়ে পারা যায় না।
বিষয়: বিবিধ
৮৪৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেখানে মানুষের জান মালের কোন নিরাপত্তাই নাই, সেখানে এগুলো করে লাভ কি? আগে মানুষ বাচান, মানুষের নিরাপত্তা দিন। আগে আপনার কু্ত্তা সামলান, ভিখ্খা না হয় নাই দিলেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন