পরিবেশবান্ধব হবে মেট্রোরেল
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৩:১৫:৪১ দুপুর
বিশ্বের সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা এই মেট্রোরেল প্রকল্প রাজধানীর যানজট সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বয়ে আনবে। রাজধানী ঢাকার যানজট সমস্যা এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে, গণপরিবহন হিসেবে সাধারণ বাস দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় যানজট সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে বড় বিকল্প হচ্ছে মেট্রোরেল। বৈদ্যুতিক ট্রেন ঝুলন্ত সিম্পল ক্যাটনারি ওয়্যার সিস্টেম থেকে ১৫০০ ভোল্টেজ ডিসি বিদ্যুতের সাহায্যে চলবে। ভোল্টেজের তারতম্য ৯০০ থেকে ১৮০০ পর্যন্ত। মেট্রোরেলের নির্ধারিত রুট অনুযায়ী উত্তরা থেকে পল্লবী, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, প্রেস ক্লাব ও মতিঝিল পর্যন্ত যাবে। মেট্রোরেল পুরোটাই হবে উড়ালপথে। মেট্রোরেল প্রকল্পটিতে কম্পন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। মেট্রোরেলের লাইনের নিচে এমএসএস (ম্যাস স্প্রিং সিস্টেম) থাকবে। ম্যাস স্প্রিং সিস্টেমে রেললাইনের কম্পনকে শোষণ করা। এর ফলে ট্রেন চলাচলের সময় আশপাশে তেমন একটা কম্পন অনুভূত হবে না। ভিভিভিএফ (ভেরিয়েবল ভোল্টেজ ভেরিয়েবল ফ্রিকোয়েন্সি) ইনভার্টার সিস্টেমে চালিত ট্রেন চলার সময় অনেক কম শব্দ তৈরি করে, যা শব্দদূষণের পর্যায়ে পড়ে না। অন্যদিকে মেট্রোরেল যেহেতু বিদ্যুৎচালিত তাই বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ নেই বললেই চলে। এসব বিবেচনায় মেট্রোরেল অনান্য পরিবহন ব্যবস্থার চেয়ে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। চালু হলে মেট্রোরেল ঢাকা শহরের একপাশ থেকে আরেক পাশে ঘণ্টায় পঞ্চাশ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে আর কমে আসবে যাতায়াত খরচও। সেই সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে থাকার দিন শেষ হবে। ২৪ জোড়া ট্রেন যাওয়া আসা করবে কয়েক মিনিট পর পর। উত্তরা থেকে মতিঝিলে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম। প্রতি দু’মিনিট পরপর নিকটস্থ স্টেশনে এসে থামবে ট্রেন। টিকিট কাটার বাড়তি ঝামেলা নেই। রুটের নিয়মিত যাত্রী হিসেবে তাদের কাছে থাকবে কম্পিউটার পাস। স্টেশনের মুখে স্থাপিত যন্ত্রে পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক ট্রেন নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে দেবে গন্তব্যে।
বিষয়: বিবিধ
৮৮৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন