জীবনমান উন্নায়নে তেলের দাম কমানোর চিন্তা সরকারের

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৪:০৮:২০ বিকাল



জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে কমানো হলে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। কারণ জ্বালানি তেলের দাম কমলে শিল্প ও কৃষিপণ্যের উত্পাদন খরচ কমবে, পরিবহন খরচ কমবে। তাতে জিনিসপত্রের দামও কমবে। এতে মূল্যস্ফীতির হারও কমে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দরে দেশের ভেতরে জ্বালানি তেল বিক্রি করে কমবেশি সরকারের পরিকল্পনা অর্জিত হয়েছে। কম দামে তেল আমদানি করে বেশি দামে দেশের মানুষের কাছে বিক্রি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অতীত দায়দেনা কমবেশি পরিশোধ করা গেছে। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ ছিল না সরকারের। এখন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের কাছ থেকে বারবার অনুরোধ আসার পর সরকার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বারবার জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য ‘চাপ’ আসার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দাম কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের ভেতরে তেলের দাম কিভাবে সমন্বয় হবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করার পরই দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে। শিগগিরই এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। সরকার এখন জ্বালানি তেলের দাম কমালে মূল্যস্ফীতির হার কমে যাবে। তখন আমানতের সুদের হারও কমবে। ফলে ঋণের সুদহার এক অঙ্কে না নামলেও তা বেশ কমবে, যা বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি দেবে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১২২ ডলার হয়। তখন বাংলাদেশে তেলের দাম বাড়ানো হয়। সে হারে বর্তমানে অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু তিন বছর ধরে জ্বালানি তেলের দাম কমতে কমতে ৪০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বয়ংক্রিয় পন্থায় নির্ধারণের জন্য একটি নীতিমালা প্রয়োজন। এ নীতিমালা তৈরি হলে বিদ্যুত্ ও জ্বালানির দাম বাড়ানো-কমানোর বিষয়ে আর কোনো শুনানির দরকার হবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ রকম পদ্ধতি রয়েছে। তবে এ জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩ পরিবর্তন করতে হবে। কারণ এ আইন অনুযায়ী বিদ্যুত্ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা বিইআরসিকে দেওয়া হয়েছে। অকেটন, পেট্রল, কেরোসিন, ফার্নেস অয়েলের দাম এখনই কমানো উচিত। আর ডিজেলের দাম কমানোর আগে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে ডিজেলচালিত বাস ও ট্রাকের ভাড়া যেন কমে।

বিষয়: বিবিধ

৮১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File