সরকারের চিন্তার স্বীকৃতি বাংলাদেশে না দিলেও পৃথিবীর অনেক দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের চোখ এড়িয়ে যাওয়ার নয়
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৭:৩৫ দুপুর
বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার চিন্তার স্বীকৃতি আমরা বাংলাদেশে না দিলেও পৃথিবীর অনেক দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের চোখ এড়িয়ে যাওয়ার নয়। সেই স্বীকৃতিই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সাময়িকী ‘ফরেন পলিসি’ এ বছরের সেরা শত শীর্ষ চিন্তাবিদের তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান ১৩-তম দেখিয়েছে। সাময়িকীটি অতীতের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বর্ষ সেরা শত চিন্তকদের তালিকা নানাভাবে যাচাই-বাছাই করেই নির্ধারণ করেছে। এ বছর সে ধরনের উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্রনায়কদের তালিকায় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলো মারকেল এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামও রয়েছে। ফরেন পলিসি’র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শীর্ষ চিন্তাবিদের মধ্যে ১৩-তম স্থানে বিবেচনা করাটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে তিনি নানা সীমাবদ্ধতার পরও বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িকতার ধারার অবস্থানে প্রধান নির্ভরশীল রূপে তুলে ধরার স্বাক্ষর রাখেন। ২০০৮ সালে ‘দিন বদলের সনদ’ দেশ ও জাতির সম্মুখে উপস্থাপনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশ, জাতি এবং বিশ্ব পরিসরে নিজের নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনার অবস্থান জানান দিলেন। তিনি তার মতো করে বাংলাদেশটাকে দারিদ্র্য অবস্থা থেকে মুক্ত করে নিচ্ছেন, নিম্ন মধ্যম আয়ের থেকে মধ্য মধ্যম এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার রোডম্যাপ তৈরি করার মাধ্যমে। রাজনীতিতে তাঁর অনেক সমালোচনা আছে, থাকা স্বাভাবিকও, সব নেতা সম্পর্কেই এমনটি ছিল এবং আছেও। তবে ইতিহাসে একদিন তিনি এসব সমালোচনার চাইতে অনেক বড় সফল রাষ্ট্রনায়কের আসনেই হয়তো প্রতিষ্ঠিত হবেন—যেমনটি সব দেশে মহান রাষ্ট্র চিন্তকদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে। শেখ হাসিনার অবস্থান শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নেই, বিশ্বপরিসরে নানা বিষয়ে তার অবস্থান তৈরি হয়েছে যা তাকে সমসাময়িক বিশ্বে একজন আলোচিত রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনীতিবিদের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তেমন নেতৃত্বের কাছ থেকে যত বেশি নেওয়া যাবে, দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিক মহল তত বেশি লাভবান হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০১০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ টার্মে চিন্তাবিদের ডিগ্রি!!!
এর পর কি?
মন্তব্য করতে লগইন করুন