জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সচেতনতাই কী সাইবার অপরাধ দমনে যথেষ্ট নয়?
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৪৫:৩২ দুপুর
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ১৯৯৬ সাল থেকেই পূর্ণোদ্যমে শুরু, যদিও প্রথমদিকে অল্প কিছু মানুষের মধ্যে এটা সীমাবদ্ধ ছিল। গত সাত-আট বছর যাবত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে। কিছু অনলাইন ব্যাংকিং এবং ই-কমার্স হিসেবে কেনাকাটার কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত দু-তিন বছর ধরে দেশে ইন্টারনেটে সাইবার অপরাধের সুচক অনেক বেড়েছে। বর্তমানে সাইবার অপরাধের প্রধান ব্যাপারটিই হচ্ছে ব্যক্তিগত হয়রানি। কারও সম্পর্কে মানহানিকর বা আপত্তিকর কথা ও ছবি পোস্ট করা। সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক প্রসারের ফলেই এই অপরাধের মাত্রা বেড়ে চলছে। অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যাচ্ছে। অনেকে লজ্জা বা সংকোচের জন্য সেটাও করছে না। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না যে তারা কী করবে। আসলে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের জন্য আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে। এজন্য ভোক্তাদের সচেতন করার কাজটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলে সাইবার অপরাধ অনেকখানিই কমিয়ে আনা যাবে। সাইবার অপরাধীকে শনাক্ত করা এবং তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, এখানেই আমাদের সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা থেকে গেছে। এখানে বিশেষজ্ঞ টিম যেমন থাকবে, তেমনি থাকতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সমন্বয়। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যারা সাইবার ক্রাইম দেখবেন, তাদের সেটাই হবে কর্তব্যের পরিধি, অন্য কিছু নয়। এটা হবে তাদের বিশেষায়িত কাজ। সাইবার অপরাধের জন্য আলাদাভাবে কোন আইন করার দরকার নেই। আমাদের সমাজে যেসব আইনে এসব অপরাধের শাস্তি দেয়া হয়, একইভাবে একই ধরনের সাইবার অপরাধের জন্যও শাস্তি দেয়ায় অসুবিধে কোথায়? আমাদের আসলে যেটা করতে হবে তা হলো- জনগণের সচেতনতার পাশপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সচেতনতা, ও সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ। তবেই আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিতে পারবো একটি সুখী সমৃদ্ধ পৃথিবী।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন