আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিদেশে রফতানির সিদ্ধান্ত
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৫:১৫ বিকাল
ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ১৯৯৯ সালে খুলনা শিপইয়ার্ডকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে বর্তমান সরকার। নৌবাহিনী সেটির প্রতিদান দিয়েছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনায় খুলনা শিপইয়ার্ড লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সফলতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করছে। এটা দেশের জন্য গৌরবের। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজ বিদেশে রফতানি করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় রুগ্ন শিপইয়ার্ড আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের গর্ব ও কর্মোদ্দীপনার প্রতীক। ৫টি যুদ্ধজাহাজ সফলতার সঙ্গে নির্মাণের পর পুনরায় ২টি লার্জ পেট্রোল ক্রাফট (বড় যুদ্ধজাহাজ) তৈরি করতে যাচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড। আমাদের নৌবাহিনীকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত করার অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে যুদ্ধজাহাজ আমদানির পাশপাশি দেশে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ তৈরিতে খুলনা শিপইয়ার্ড অনন্য অবদান রেখে চলেছে। এক সময় শিল্পাঞ্চল খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলের বহু শিল্প কারখানা দূরদর্শিতার অভাব, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও দুঃশাসনের কবলে পড়ে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রুগ্ন ও বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন একটি রোল মডেল। দেশের মাটিতে সর্বপ্রথম খুলনা শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর জন্য বড় যে দু’টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করতে যাচ্ছে তার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৬৪ দশমিক ২০ মিটার এবং প্রস্থ ৯ মিটার। এর গভীরতা হবে ৪ মিটার। সমুদ্রপথে ঘণ্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলবে। এছাড়া খুলনা শিপইয়ার্ডে নৌ-কল্যাণ ফাউন্ডেশনের জন্য নির্মিত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কন্টেনার ভেসেল ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৩.৫০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট, যা প্রায় ১৪০টি পণ্যবাহী কন্টেনার পরিবহনে সক্ষম। এ জাহাজগুলো নৌবহরে সংযোজনের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজে তেল ও রসদ সরবরাহের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী, খাবার পানি সরবরাহ ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
বিষয়: বিবিধ
৬০৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন