এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে বর্জ্য!
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৩২:৩৭ দুপুর
পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ ও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মত মুসলিম প্রধান দেশে পশু জবাই নৈমত্তিক বেপার। পশুর বর্জ্য অন্যান্য বর্জ্যের মতো নয় বরং এর মাধ্যমে কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন সম্ভব। বিদ্যুতের পাশাপাশি আবর্জনা থেকে জৈব সারও উৎপাদিত হবে বছরে ৯ লাখ টন। শাক-সবজি, ধানসহ কৃষি উৎপাদনে এই জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতকে করতে পারে আরও সমৃদ্ধশালী। পশুর চামড়া, হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি, রক্ত, চর্বি, পিত্ত বা চামড়ার উচ্ছিষ্ট অংশ- এসব উচ্ছিষ্টের শতভাগ রপ্তানিযোগ্য। সাধারণ মানুষ রপ্তানিযোগ্য এসব উচ্ছিষ্ট সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারণে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশ হারাচ্ছে রপ্তানি বাজার। পশুর হাড় দিয়ে তৈরি হয় জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ক্যাপসুলের কভার, নাড়ি দিয়ে অপারেশনের সুতা, রক্ত দিয়ে পাখির খাদ্য, চর্বি দিয়ে সাবান, পায়ের খুর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ক্লিপ ইত্যাদি। অর্থাৎ গরু-খাসির সব অংশই মানুষের কোনো না কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়। পশু জবাইয়ের পর একটি মাঝারি আকারের গরু থেকে ১৫ থেকে ২০ কেজি হাড় ফেলে দেয়া হয়। আর এই হাড় সংগ্রহ করে প্রতিদিন ব্যবসা হয় অন্তত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। নাড়িভুঁড়ি বিক্রি হয় আরো অন্তত ১২ লাখ টাকার। হাড়গোড় দিয়ে ওষুধ, বোতাম আর ঘর সাজানোর নানা উপকরণ তৈরি হয়। এ ছাড়া নানা দেশেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় নাড়িভুঁড়ি। এতে করে যেমনি বর্জ্য নিষ্কাশনও হবে আর এর বিপরীতে রপ্তানিও বাড়বে।
বিষয়: বিবিধ
৭৮২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শালা ভারতীয় ধুতিচাটা গোলাম! হুদাই কেচকেচাছ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন