কেন আমরা এ ধরণের পত্রিকা পড়ব?
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:৩৪:১৭ সন্ধ্যা
ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৭ বছর পরও পাহাড়ে অশান্তির বাতাস যেন থামছে না। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পাহাড়ে সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে তৎপর থাকার পরও পাহাড়ীদের অধিকার আদায়ের নামে আঞ্চলিক দুটি রাজনৈতিক সংগঠন যেন রহস্যজনক পথে এগোচ্ছে, যা দিনে দিনে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রূপ নিয়েছে। এসব নিয়ে পাহাড়ে বসবাসরত শান্তিপ্রিয় পাহাড়ী-বাঙালীরা একদিকে যেমন চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে, তেমনি নিরাপত্তা বাহিনী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের যে কোন অপতৎপরতা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু থেমে নেই অস্ত্রহাতে বহুমুখী অপতৎপরতা। সুযোগ পেলেই পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা কখনও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রতিশোধ নিচ্ছে। আবার কখনও বাঙালীদের ওপর চড়াও হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড প্রমাণ করেছে এরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকেও প্রতিহত করতে চায়। গোটা পাহাড়কে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে একটা গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যরা মাঠে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত তারা চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু নেপথ্যে এদের চিন্তাধারা মূলত স্বায়ত্তশাসন অর্জনের লক্ষ্যে। এদের এ তৎপরতাকে প্রতিনিয়ত উস্কে দিচ্ছে দেশী-বিদেশী কিছু এনজিও সংস্থা। ইদানিং “প্রথম আলো” এবং “THE DAILY STAR” পত্রিকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে সন্ত্রাসীদেরকে আদিবাসী হিসাবে চালিয়ে দিয়ে দেশে একটা অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। তাদের নিয়ে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা কখনও দেশের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। নিরাপত্তা বাহিনী এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই ‘আদিবাসী’ বিরুদ্ধে সরকারী দমননিপীড়ন চলছে বলেই সারাবিশ্বকে জানান দেয়া হয়। যে সমস্ত পত্রিকা এ ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ পরিবেশন করে, আসুন দেশের স্বার্থে আমরা ঐ ধরণের পত্রিকাকে বর্জন করি।
বিষয়: বিবিধ
৯৬১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আগে অন্যান্য পত্রিকার নিষেধাজ্ঞা তোলা হোক।
যদি এসব ভাওতবাজি মানে প্রথম আলো বন্ধের উদ্দেশ্য দেশপ্রেম হয়ে থাকে তাহলে আগে প্রকৃত দেশপ্রেমিক পত্রিকা 'আমার দেশ' উন্মুক্ত করা হোক এবং মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করা হোক।
আওয়ামী ফাদে পা দিলাম না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন