পার্বত্য সন্ত্রাসীদের অলীক স্বপ্ন ‘জম্মুল্যান্ড’ নামে স্বাধীন একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তাদের এই দিবা স্বপ্ন চিরকাল স্বপ্নই থেকে যাবে, বাস্তবায়িত হবে না কখনও (পর্ব-১২/১২)
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৩৫:৩৪ বিকাল
শান্তি-সম্প্রীতি :
সকলকে শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বাংলাদেশের প্রধান শক্তিই হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। বাঙালি, পাহাড়ি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মাবলম্বী ও জাতি-গোষ্ঠীকে পরস্পরের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করতে হবে। কেউ যেন কখনই অন্য কারো কৃষ্টি, সভ্যতা, সামাজিকতা, ধর্মীয় অনুভূতি ইত্যাদিতে আঘাত না করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাধীনতার পর ৪৪ বছরে বাংলাদেশের অর্জন প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক ভালো। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানে সময় নষ্ট করা কারও কাম্য হতে পারে না। অতীতের হানাহানি ও বিবাদ ভুলে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রসর হতে হবে। এখানকার ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীর অধিকার, তাদের উত্তরাধিকারীদের অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নতির অধিকার সুষমভাবে নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। একই সাথে এখানে বসবাসরত অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাঙালিরাও নিষ্ঠুর বাস্তবতার শিকার। এ সমস্যার সমাধান তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার মধ্যে নয় বরং উভয়পক্ষের স্বার্থ ও সম্প্রীতি রক্ষা করার মাধ্যমেই সম্ভব। এদেশের জনগণ কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত অর্থ নিজের পরিবারের জন্য ব্যয় করতে চায়। দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে-পরে শান্তিতে জীবনযাপন করতে চায়। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুশিক্ষা এবং উন্নত জীবন চায়। অসুস্থ হলে সুচিকিৎসা চায়। এ অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য অঞ্চলে মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট অশান্তি ও অস্ত্রের ঝনঝনানি সমূলে উৎপাটন করে সকলে মিলে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত জীবন যাপন করা এবং পরবর্তী বংশধরদের জন্য বসবাসযোগ্য বাংলাদেশ রেখে যাওয়াই সকলের স্বপ্ন। এদেশের অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য এলাকায় সকলে মিলে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে পারলে উন্নয়ন এবং উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত হতে বাধ্য।
(...............শেষ পর্ব)
বিষয়: বিবিধ
১০২২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভারতের বাপ চীন সহজে এই জিনিষটা হতে দেবেনা।
জনসংখ্যার দিক থেকে রাশিয়া, জার্মানী, কিংবা জাপান থেকে বৃহত্তর দেশ।
এমন বড় দেশকে শ্রীলংকা বা সিকিম নেপাল ভাবা ঠিক না। যার প্রমাণ ভারত পেয়েছে বারবার।
ব্রিটশরা যাবার আগেই ১৯৩৬ সাল থেকে এ'দেশের মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ ভোগ করে এসেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন