একক নেতৃত্বের কারণেই বিএনপির বিভক্ত আসন্ন
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৫ জুলাই, ২০১৫, ০৩:১১:১৭ দুপুর
বেশ কয়েক বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দল পরিচালনার ব্যাপারে ছেলে তারেক রহমান ছাড়া আর কোনো সিনিয়র নেতার মতামত নেন না। এ কারণে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর এ কারণেই, আন্দোলন ও দল গোছানোসহ খালেদা জিয়া যে কাজেই হাত দেন গোপনে সে কাজের বিরোধিতা করেন দলীয় নেতারা। তাই এসব কাজে সফলতা অর্জন করতে পারছেন না খালেদা জিয়া। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেই হাওয়া ভবন থেকে দল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে থাকেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন কিছু মধ্যম সারির নেতা। এ কারণে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তবে দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব হারানোর ভয়ে সিনিয়র নেতারা তখন প্রকাশ্যে তারেক রহমানের কর্মকান্ডের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন তুলেননি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করতে থাকেন। এরই প্রতিফলন ঘটে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর ওয়ান-ইলেভেনের সময়। এসব সিনিয়র নেতা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা বিএনপি গঠন করেন। সেই সঙ্গে তারা বিএনপি থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার জোর চেষ্টা চালান। তবে সে যাত্রায় তারা পুরোপুরি সফল না হলেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সে ধাক্কা এখনও সামাল দিতে পারেনি। ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা না নেওয়ায় বিএনপি এখন পর্যন্ত মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। যেই তারেক রহমানের জন্য দল দুরবস্থার কবলে পড়ে, সেই তারেক রহমানকে ঐ জাতীয় কাউন্সিলে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব থেকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। এতে করে দলের অন্য সিনিয়র নেতারা চরম ক্ষুব্ধ হন। এখনও এর মাসুল দিতে হচ্ছে দলটিকে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার আগে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মতামত নেননি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অবশ্য লন্ডন প্রবাসী ছেলে তারেক রহমানের মতামত তিনি ঠিকই নেন। এ কারণে নির্বাচনে অংশ নিলে যাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল এমন দলীয় নেতারা খালেদা জিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হন। তাই ওই নির্বাচন প্রতিহত করতে কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হলেও সিনিয়র নেতারা সহযোগিতা না করায় নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি বিএনপি। এখন সেই নেতারাই বিকল্প বিএনপি গড়ার জোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিকল্প বিএনপিতে যোগ দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন মামলার কারণে পালিয়ে বেড়ানো বিদেশে চলে যাওয়া অনেক সিনিয়র নেতা এবং সরকারি দলের সঙ্গে ব্যালেন্স করে দেশে থেকে ব্যবসাবাণিজ্য করা বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। জিয়াউর রহমানের বিএনপির জন্য যেসব নেতা অন্তপ্রাণ, তারা বলছেন, ওয়ান-ইলেভেনে বিএনপি না ভাঙলেও এবারকার ধাক্কা খালেদা-তারেকের পক্ষে সামলানো কঠিন হবে। কারণ আর কিছুই নয়, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একনায়কসুলভ মনোভাবই এবার বিএনপিকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৮৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধুতিচাটা গোলাম তোর প্রণব নিয়া চিন্তা কর আর তোর অলি, তোর উপাস্য হাসিনা নিয়া মাথা ঘামা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন