মুদ্রা জালিয়াতি ও পাচার রুখতে সরকারের নির্দেশনায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২১ জুলাই, ২০১৫, ০৪:১৬:০৫ বিকাল
মুদ্রা জাল, মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঠেকাতে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রা পাচার রুখতে ব্যাংকগুলোকে আলাদা বিভাগ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রাহক নির্বাচনেও কঠোর সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে অসাধু গ্রাহকের দায়ও ব্যাংককেই নিতে হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে মুদ্রা জালিয়াত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যাংক শাখার কার্যক্রমেও নজরদারি আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থ পাচার বা সন্ত্রাসে অর্থায়নের লেনদেন হলে সেই দায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংককেই নিতে হবে। কোনো ব্যাংকের লেনদেনে জাল মুদ্রা পাওয়া গেলে জবাবদিহি করতে হবে। কোনো ব্যাংক হিসাবে একদিনে ১০ লাখ টাকার লেনদেন হলেই সন্দেহজনক তালিকায় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে।মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২, সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ পরিপালনে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে এমন নির্দেশনা দিয়ে মহাপরিকল্পনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৭ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সব শাখায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে এ ইউনিট। সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের আলাদা মানিলন্ডারিং নীতিমালা করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মাস্টারপ্ল্যানে বলা হয়েছে মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ও ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিস্তারে অর্থায়ন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অপরাধ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া বা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে ব্যাংক। কোনো ব্যাংকে বেনামে বা ছদ্মনামে বা শুধুমাত্র নম্বরযুক্ত কোনো গ্রাহকের হিসাব খোলা যাবে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন প্রস্তাবের আওতায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা বাংলাদেশ সরকারের তালিকাভুক্ত কোনো নিষিদ্ধ ব্যক্তি বা সংগঠনের হিসাব খোলা যাবে না। এমন হিসাব খোলা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দায় নিতে হবে। গ্রাহকের কোনো লেনদেন অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক হলেই তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব দেশ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি সেসব দেশের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাল নোটের বিস্তার ঠেকাতে এবং জাল নোট সরবরাহকারী চক্রের মূলোৎপাটনে ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা ঢুকানোর আগে তা জাল কিনা- শনাক্তকারী মেশিন দিয়ে যাচাই করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপরও কোনো ব্যাংকের এটিএম বুথে জাল টাকা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককেই সে দায় নিতে হবে। আর যেসব নিরাপত্তা সংস্থা এটিএম বুথে নোট সরবরাহে সহায়তা দিয়ে থাকে সেগুলোকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। নতুন এ নীতিমালা জারির ফলে মুদ্রা জালিয়াতি ও পাচার অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৪১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বল স্বৈরাচার ভোট ডাকাত পিশাচিনী হাসিনা আর তার বলদ বাহিনী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন