বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ম্যাজিকে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১১ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৫২:০৬ দুপুর
বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্য আয়ের দেশ। সম্প্রতি মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে এই স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের কাতারে পৌঁছানোর জন্য সরকারের রয়েছে একটি নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা, যা 'রূপকল্প-২০২১' নামে পরিচিত। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছানো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, সবার মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি।। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করা। ২০১৭-১৮ সালের মধ্যেই এগুলো অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা এতদিন নিম্ন আয়ের দেশে ছিলাম। যাদের মাথাপিছু আয় ০ থেকে ১ হাজার ৪৫ ডলার, বিশ্বব্যাংকের হিসাবে তারা নিম্ন আয়ের দেশ। আর যাদের ১ হাজার ৪৫ ডলারের ওপরে, ৪ হাজার ১২৫ ডলার পর্যন্ত মাথাপিছু আয় তারা হলো নিম্নমধ্য আয়ের দেশ। আমাদের বর্তমান মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩০০ ডলারের ওপরে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এটি ১ হাজার ৯০ ডলার। তিন বছরের গড় মাথাপিছু আয় হিসাব করে তারা আমাদের নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ৪ হাজার ১২৫ ডলারের ওপরে মাথাপিছু আয় নিতে পারলে আমরা উচ্চমধ্য আয়ের দেশে পরিণত হব। উচ্চমধ্য আয়ের দেশ হলো তৃতীয় পর্যায়। ৪ হাজার ১২৫ থেকে ১২ হাজার ৭৩৫ ডলার পর্যন্ত যাদের মাথাপিছু আয় তারাই উচ্চমধ্য আয়ের দেশ। এখানে ভারত, চীন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে। এ ছাড়া ১২ হাজার ৭৩৫ ডলারের বেশি মাথাপিছু আয় হলে আমরা উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছব। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের সেই লক্ষ্য রয়েছে। তবে তার আগে আমাদের নিম্নমধ্য আয়ের দেশে থেকে উচ্চমধ্য আয়ের দেশে পৌঁছতে হবে। এ জন্য আরও ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ ২০২৫-২৬ সালে আমরা উচ্চমধ্য আয়ের দেশে পৌঁছতে পারব বলে আশা করছি। এ জন্য আমাদের কাজটি হচ্ছে মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ১২৬ ডলারে উন্নীত করা। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে সে দিন আর বেশী দূরে নয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা আমাদের কাংক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবো।
বিষয়: বিবিধ
৬৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন