দেশের সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সন্ত্রাস সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী হিসেবে অভিনন্দিত হয়েছে বর্তমান সরকার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৩৩:৫২ দুপুর
বাংলাদেশে জনসংখ্যার তিন ভাগের দুই ভাগই টগবগে তরুণ। এটা একটা সামাজিক-পুঁজি। তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে তোলার দায়িত্ব পালন করছে বর্তমান সরকার। একথা ঠিক মেধা আর যোগ্যতার জোরেই বিশ্ব মানচিত্রের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের নাম। এদেশের সীমিত সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবই। তারুণ্যের শক্তি কি না পারে? ’৫২, ’৬৯, ’৭১ কিংবা ’৯০ এর বিজয়ে তরুণরাই অগ্রপথিক ছিল। তরুণদের কাছে অস্ত্র ছিল না, ছিল শুধু অদম্য সাহস। সে সাহসের হাত ধরেই তারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু দেশের এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। ধর্মীয় উগ্রপন্থিরা সক্রিয় হয়েছে শিক্ষিত যুব সমাজকে তাদের জেহাদি কাজে ব্যবহারের জন্য। ইতোমধ্যে তারা সফলও হয়েছে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্ত আস্তানা গেড়েছে তারা। সেখানকার শিক্ষার্থীরা ইসলামের শত্রু চিনে দেশের মুক্তমনাদের হত্যা করেছে। মাদকাসক্তের মতো জঙ্গি আসক্তিতে বর্তমান যুব সমাজ মরণ খেলায় মেতে উঠেছে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাস নির্মূলের মতই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি সচেষ্ট। ইতোমধ্যে এ দেশের সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সন্ত্রাস সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী হিসেবে অভিনন্দিত হয়েছে বর্তমান সরকার। জীবনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিধানের অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক কাউকে নৃশংস অত্যাচার ও খুন করা স্পষ্টত মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত পর্যায়। তাদের নির্মূল করা এবং যুব সমাজকে বাঁচাতে যা করণীয় তার সবই করতে হবে সরকারকে। সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের প্রশংসা জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডকে গতিশীল এবং একইসঙ্গে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
বিষয়: বিবিধ
৭০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন